ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সড়কের দু’পাশে ট্রাক লোড-আনলোড॥ বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

সড়কের দু’পাশে ট্রাক লোড-আনলোড॥ বাড়ছে দুর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সড়কের দু’পাশে দুটি ট্রাক কাঠ লোড করছে। এদিকে ট্রাক দুটির দু’পাশেই অসংখ্য যাত্রীবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। তবু থেমে নেই লোড আনলোডের কাজ। ভ্রুক্ষেপ নেই চালক ও শ্রমিকদের। এভাবেই প্রতিনিয়ত যত্রতত্র অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর-পূর্ব জনপদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর অযাচিতভাবে বাঁশ ও কাঠসহ নানা সামগ্রী লোড-আনলোড করায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট। এ বিষয়ে কয়েকবার গ্রামবাসী মিলে প্রশাসন ও চালক, শ্রমিকদের বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি প্রশাসন। এমনকি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপের দেখা মেলেনি। সড়কে কাঠ বাঁশ লোড আনলোডের ব্যাপারে ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে এমন ঘটনার তথ্য পেলে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জনসাধারণের জান, মাল ও সময়ের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকা- সড়কে না ঘটে তারও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অঞ্চলের যোগাযোগ সড়কের মধ্যে শংকরপাশা-আমতলা, শংকরপাশা-সিঙ্গিয়া ও ভাটপাড়া-নড়াইল সড়ক প্রধানতম সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম। এ সকল সড়কের দু’পাশ জুড়ে যত্রতত্র কাঠ ও বাঁশ ফেলে রাখার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত কয়েক দিন ধরেই শংকরপাশা-আমতলা রোডের বাঘুটিয়া, পাচুড়িয়া, চাকই ও ভাটপাড়া-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কের ওপর এমন কাঠ বোঝাইয়ের দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় অসংখ্য যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রীসাধারণকে তীর্থের কাকের ন্যায় নিরুপায় হয়ে অপেক্ষা করতে হয়। ভৈরব নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী ভাটপাড়া বাজার। এখান থেকে একটি সড়ক চলে গেছে নড়াইল পর্যন্ত। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সিংগাড়ী বাজার হয়ে চলে গেছে গোবরা ও নড়াইল সদরে। খুলনা থেকে কালনা নদীর ফেরি পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর রাস্তাও এটি। এখান থেকে বাঁশ ও কাঠ ঢাকা, খুুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়, যা অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু এ সব সড়কের দু’ধারে এলোপাতাড়ি কাঠ ও বাঁশ রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকার কাঠ ও বাঁশ ব্যবসায়ীরা। ফলে নিত্যদিন সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কাঠ ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা এভাবেই শুরু থেকে কাঠ রেখে আসছি। কখনও প্রশাসনিক কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি।’ এ ব্যাপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
×