ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষেতলাল-বগুড়া সড়ক মরণফাঁদ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

ক্ষেতলাল-বগুড়া সড়ক মরণফাঁদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১৩ অক্টোবর ॥ অতি বর্ষণ আর ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল-বগুড়া সড়কের প্রায় দশ কিলোমিটার অংশের খোয়া ও পিচ উঠে গেছে। খানাখন্দে ভরা সড়কটির বেশ কিছু অংশ ডুবে থাকছে বৃষ্টির পানিতে। বড় গর্ত ছাড়াও সড়কটির দুই পাশের কোন কোন জায়গা থেকে মাটিও সরে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। জানা গেছে, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলার একাংশের লক্ষাধিক মানুষের জয়পুরহাট-বগুড়ায় যোগাযোগের এই একমাত্র সড়কটি বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাল ছিল। দূরত্ব কম হওয়ায় ক্ষেতলাল সদর, ইটাখোলা, কাজিপাড়া, চৌধুরীপাড়, শাখারুঞ্জ এবং কালাইয়ের কুজাইল,করিমপুর,বামনগ্রাম ও মোলামগাড়িসহ অন্তত লক্ষাধিক মানুষ এ সড়কে বগুড়া ও জয়পুরহাট যাতায়াত করে। এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর পর বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থান সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাথর বোঝায় ৪৫-৫০ টনের ভারি ট্রাক-যানবাহন চলাচল করায় সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। এবারের বর্ষা শুরুর পর মহাস্থান সেতু অকেজো হওয়ার পর ক্ষেতলালের এই সড়ক পথে শত শত গাড়ি চলাচল করায় সড়কটির জয়পুরহাট অংশের দশ কিলোমিটার জুড়ে পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। আবার অনেক জায়গায় দেবে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে গর্তগুলো যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়। বিশেষ করে সড়কটির মোলামগাড়ি বাজারের প্রায় ৫০০ মিটার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন অকেজো থাকার পাশাপাশি দুই পাশের উঁচু স্থাপনার কারণে একটু বৃষ্টিতেই সড়কটি ডুবে যায়। নওগাঁ-ধামইরহাট নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, ধামইরহাট উপজেলা সদরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সংস্কার করা হয়নি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। বর্তমানে রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বার বার অনুরোধ করার পরও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশার বাণী ছাড়া আর কিছুই মিলছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জানা গেছে, ধামইরহাট পৌরসভার অন্তর্গত ৭নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ধামইরহাট বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে যাওয়ার এই রাস্তার প্রায় ২৫০ মিটার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কে গিয়ে মিলেছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মুসল্লি কেন্দ্র্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য আসা-যাওয়া করেন। এছাড়া রবিবার হাটবার হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার হাটুরে হাটে যাতায়াত করেন। রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। এখন রাস্তা জুড়ে কয়েকটি ইটের খোয়া ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। বৃষ্টি ও বর্ষার সময় ওই রাস্তা কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তাছাড়া ওই এলাকায় কোন ডাস্টবিন না থাকায় এলাকাবাসী রাস্তার ওপর সব ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে সেগুলো পচে দুগর্ন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে মুসল্লি ও হাটুরেদের চরম কষ্টের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ১৯৯০ সালে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে রাস্তাটি পাকাকরণ কাজ করা হয়। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ওই রাস্তার আর কোন সংস্কার কাজ হয়নি। এলাকাবাসী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দেখার যেন কেউ নেই। অথচ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকরা এ এলাকায় বসবাস করে। গণমাধ্যম কর্মীও ওই এলাকার অধিবাসী হারুন আল রশীদ বলেন, অত্যন্ত লজ্জার বিষয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানালেও শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। অথচ ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হলেও এখন ৩১ জন রয়েছেন। প্রতিমাসে তাদের পেছনে বেতনভাতা বাবদ ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। অথচ সামান্য রাস্তাটি সংস্কারের টাকা পৌর কর্তৃপক্ষের নেই। এ বিষয়ে ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে।
×