ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিনদিনের এ মেলা বসছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে

ঢাকায় আইসিটি এক্সপোশুরু হচ্ছে আগামী১৮ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

ঢাকায় আইসিটি এক্সপোশুরু হচ্ছে আগামী১৮ অক্টোবর

ফিরোজ মান্না ॥ আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭’। ‘মেক ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিন দিনের মেলায় দেশী-বিদেশী দেড়শ’র বেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ ছাড়া মেলা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বিভিন্ন সেশনে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনা করবেন। এতে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর দেশীয় প্রতিষ্ঠান আরও সমৃদ্ধ হবে। উন্নত দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। এ কারণে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আইসিটি এক্সপো নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশকে প্রযুক্তি খাতের আদর্শ গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিবছরের মতো এবারও আইসিটি এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি উৎপাদন-সংযোজনে ব্যবহৃত হয় এমন কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের বিদ্যমান শুল্ক কমিয়েছি। ৯৪ ধরনের কাঁচামাল এবং যন্ত্রাংশে আগেকার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শুল্ক এখন মাত্র ১ শতাংশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আইটি-আইটিএস ও হার্ডওয়্যার খাতে রফতানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। ফলে এ খাতে আমরা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনা করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশী হার্ডওয়্যার শিল্পের বিকাশ ও এই শিল্পে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে এখন বিশ্বখ্যাত স্যামস্যাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স কারখানা স্থাপন করেছে তেমনিভাবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনও তাদের মোবাইল সংযোজন কারখানার যাত্রা শুরু করেছে। এছাড়াও, দেশে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উৎপাদন ও সংযোজন কারখানা স্থাপনের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে সিম্ফনি, আমরা টেকনোলজিস, এলজি ও হুয়াওয়ে। ফলে দেশী প্রযুক্তি পণ্যের বিশাল চাহিদা মেটাতে আর আমাদের আমদানি করতে হবে না। আমরা এখন সংযোজন ও উৎপাদন শুরু করেছি। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে মেলায় তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, জাপানসহ দেশী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব এবং উৎপাদক ও উদ্যোক্তাগণও এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হবে ৩ স্তরের (ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল) নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের জন্য ডিজিটাল সেবা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গেমিং, সেলফি, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও থাকছে এবারের প্রদর্শনীতে। মেলায় কম করে হলেও ৫ লাখ ক্রেতা-দর্শনার্থী এ প্রদর্শনী উপভোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রদর্শনীকে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে উন্মুক্ত করা হয়েছে (িি.িরপঃবীঢ়ড়.পড়স.নফ) ওয়েব পোর্টালটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও একটি পেজ খোলা হয়েছে। ওই পেজের ঠিকানা হচ্ছে ইধহমষধফবংয ওঈঞবীঢ়ড়। এখানে ঢুকে প্রদর্শনী সম্পর্কে সব তথ্য জানা যাবে। মেলায় ব্যবহার করা হবে টুইটার ও ইউটিউবসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমও। ফলে, অনলাইনেও প্রদর্শনীর স্বাদ নিতে পারবেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। আগামী ১৮ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন। মেলা শেষ হবে এ্যাওয়ার্ড নাইটের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজ (সিসিএ) এ প্রদর্শনীর আয়োজনে সহযোগী। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিস (বেসিস), বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও), সিটিও ফোরাম, ই-ক্যাব, বিআইজেএফ এ প্রদর্শনীর অংশীদার।
×