ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

ঝলক

অগত্যা ভিক্ষাবৃত্তি ভারতের তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে কুমারকোট্টম মন্দিরের প্রবেশপথে ভিক্ষা করছিলেন এক রুশ পর্যটক। মন্দিরের সামনে এভাবে এক বিদেশীকে ভিক্ষা করতে দেখে সবাই বিস্মিত হয়ে পড়েন। দেশটির পুলিশ ইতিমধ্যে তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও টুইটে লিখেছেন, ‘ইভানগেলিন, তোমার দেশ রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। চেন্নাইয়ে আমার দফতরের কর্মকর্তারা তোমাকে সব রকম সাহায্য করবে।’ চব্বিশ বছর বয়সী পর্যটক ইভানগেলিন গত আট অক্টোবর ভারতে বেড়াতে আসেন। মন্দির ও বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র দেখতে আসা ইভানগেলিন চলে যান চেন্নাই শহরে। সেখান থেকে মন্দিরের শহর কাঞ্চিপুরমে। কিন্তু সেখানে গিয়েই বিপদে পড়ে যান তিনি। এটিএমে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন কার্ডের পিন নম্বর ব্লক হয়ে আছে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তাঁর। টাকা ছাড়া কীভাবে চলবেন? কী খাবেন? মাথায় যখন এসব বিষয় ঘুরপাক খাচ্ছিল, তখন তাঁর চোখে পড়ে কুমারকোট্টম মন্দিরটি। মন্দিরের সামনে দেখেন অনেক মানুষ হাতে পাত্র নিয়ে দরজার সামনে বসে আছে। পূজা দিতে আসা অনেকে সেই পাত্রে টাকা দিচ্ছেন। ভাবলেন তিনিও সেখানে টাকা চাইবেন। কিন্তু কীভাবে চাইবেন। তিনি তো এখানকার ভাষা জানেন না। পাত্রও নেই। অগত্যা তাঁর মাথায় বুদ্ধি এসে যায়। নিজের মাথার টুপিটি খুলে সেটিকে পাত্র হিসেবে হাতে তুলে ধরেন। তাতে সাড়াও পান। ভিক্ষুকদের মধ্যে এক বিদেশী ভিক্ষুক থাকায় নজর কাড়েন সবার। সবাই অবাক বনে যান। তারা খবর দেয় নিকটবর্তী শিবকাশি থানায়। পুলিশও চলে আসে। পুলিশের কাছে ওই পর্যটক তাঁর পাসপোর্ট, এটিএম কার্ডসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখিয়ে বোঝাতে সক্ষম হন তাঁর সঙ্কটের কথা। সব কথা শুনে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানবিক দিকটি ভেবে তুলে দেন ৫০০ রুপী। এরপর বলেন, তিনি যেন চেন্নাই চলে যান। এবং রাশিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে থানা কর্তৃপক্ষই তাঁকে চেন্নাই পাঠানোর ব্যবস্থা করে।-ইন্ডিয়া টুডে অনলাইন স্বর্ণের স্রোত লোকজন শহরের পয়োনালাতে হন্নে হয়ে স্বর্ণের কণা খুঁজে বেড়াচ্ছে। এরপর জীবিকা নির্বাহের জন্য সেগুলো বাজারে বিক্রি করেছে। এমন দৃশ্য আমাদের কল্পনাকে হার মানতে পারে। তবে সুইজারল্যান্ড হলে সে আলাদা কথা। দেশটির পয়োনালা ও দূষিত পানি শোধনকেন্দ্র দিয়ে প্রতি বছর পঁচানব্বই পাউন্ডের বেশি সোনা ভেসে যায়। বর্তমানে যার বাজারমূল্য কুড়ি লাখ ইউরো। গবেষকরা বলেন, ঘড়ি কারখানা ও স্বর্ণ পরিশোধনাগার থেকে এসব কণা পয়োনিষ্কাশনের সঙ্গে প্রবাহিত হয়। সুইস ফেডারেল দফতর জানিয়েছে, ৬৪টি পানি ও স্বর্ণ পরিশোধনাগারে জরিপ চালিয়ে তারা এ তথ্য পেয়েছেন। পানি প্রবাহের সঙ্গে ভেসে আসা এসব কণা কোথাও কোথাও ব্যাপকভাবে পলির মতো জমা পড়ে। গবেষকরা বলেন, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় স্বর্ণের কণা এত বেশি জমা পড়ে যে তা ফের সংগ্রহ করে ব্যবহার করা সম্ভব। সুইজারল্যান্ডে বৈদ্যুতিক ডিভাইস উৎপাদনে সিলভার ও বিরল খনিজ উপাদান ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, পয়োনালাতে প্রতিবছরে সাড়ে ছয় হাজার পাউন্ড সিলভার ভেসে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি বছরে সুইস পয়োনালাতে কেবল স্বর্ণ ও সিলভারই ভেসে যায়নি। জেনেভার টয়লেট থেকে গত সেপ্টেম্বরে এক লাখ ইউরো ভেসে গেছে। কালো টাকা জমানোর শাস্তি থেকে রেহাই পেতে এক সুইস নারী এসব অর্থ পয়োনালাতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। লেখক বাস ভ্রেইন বলেন, আপনি শুনে থাকতে পারেন যে ক্ষুব্ধ নারী কিংবা পুরুষ স্বর্ণের জিনিসপাতি টয়লেটে ফেলে দিয়ে ফ্লাস করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা কখনোই একটি আংটির সন্ধান পাইনি। আসলে যে স্বর্ণ কিংবা সিলভার ভেসে যায় তা ক্ষুদে কণার মতো। এগুলো যখন ভেসে ভেসে যেতে কোথাও জমা হয়, তখন তা পরিমাণে বেশি দেখায়।-সিএনএন মানি অনলাইন
×