নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১২ অক্টোবর ॥ বাঁশখালীর পশ্চিম পুঁইছড়িতে এক প্রবাসী তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন বেঁধে রেখে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে পরিবারের লোকজন পুলিশের সহযোগিতার স্বামীর কবল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী হোসাইনকে আটক করেছে । জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে পশ্চিম পুঁইছড়ির হোসাইনের সঙ্গে শেখেরখীর গোলাম শরীফের কন্যা ইয়াসমিন আক্তার রুনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে সৌদি আরব চলে গেলে স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ না দেয়া পিতা গোলাম শরীফ বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। এদিকে গত জুন মাসে হোসাইন বিদেশ থেকে এসে স্থানীয় জনগণের সালিশী সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসে আবারও। সর্বশেষ গত রবিবার আবারও পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে এবং কোদাল দিয়ে দুপা ভেঙ্গে দেয় ইয়াসমিন আক্তার রুনাকে। তাছাড়া বাড়ির মধ্যে বেঁধে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায় এই গৃহবধূর ওপর ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চুরির অপবাদে
স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, ৫০ হাজার টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ২৬ বছরের এক নারীকে ২৪ ঘণ্টা ধরে অমানুষিক নির্যাতন করায় সে এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পঙ্গু অবস্থায় শিবগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। নির্যাতিতার মা তাজকেরা শিবগঞ্জ থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর রানীবাজার এলাকার হাবিবের মেয়েকে মিন্টুর স্ত্রী আজমা কৌশলে ডেকে নিয়ে ৫০ হাজার টাকার মিথ্যা চুরির অভিযোগ তুলে লোক দিয়ে হাত-পা বেঁধে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে পুলিশে খবর দিলে অচেতন অবস্থায় নারীকে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নির্যাতনকারী আসামিরা হচ্ছে ফিটু, জেন্টু, জামাল, জেন্টুর ছেলে আলমগীর, হাফিজুর ও আজিমা বেগম।