ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

ফিরে দেখা

বিএনপি কি বৃহৎ দল? শাহীন রহমান ॥ দেশের রাজনীতিতে বিএনপি বড় দল হিসেবেই স্বীকৃত। গণতান্ত্রিক ধারায় দলটি ১০ বছর দেশ শাসন করেছে। বিরোধী দলেও ছিল দু’বার। দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের অনেক বাইরে এখন অবস্থান করছে দলটি। জনগণ এখনও দেশে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে গণ্য করে। তবে সংসদের বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের এ বিষয়ে স্পষ্টত সন্দেহ রয়েছে। তিনি এখনও সন্দিহান বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল কি-না? ৯ অক্টোবর ইসির সঙ্গে বৈঠক ছিল জাতীয় পার্টির। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, বিএনপি বড় দল কিনা বলতে পারব না। বড় দল আমরাও হতে পারি। জনগণই তা নির্ধারণ করবে কে বড় দল। অরুণ জেটলির প্রতীক্ষায় তৌহিদুর রহমান ॥ ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঢাকা সফরকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। গত ৪ অক্টোবর অরুণ জেটলির বক্তব্য শোনার জন্য সোনারগাঁওয়ের বলরুম ভর্তি মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন। অরুণ জেটলি এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলেন। সে কারণেই তাকে দেখার জন্য আগ্রহ অনেক বেশি ছিল। নির্ধারিত সময় অরুণ জেটলি বলরুমে এসে হাজির হন। সে সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও তার সঙ্গে ছিলেন। বিভিন্ন মিডিয়া চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান আগে থেকেই হলের মাঝখানেই অবস্থান নেন। সে কারণে পেছনের লোকেরা মঞ্চে থাকা অরুণ জেটলিকে দেখতে পারছিলেন না। অবশেষে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানদের হলের মাঝখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধে ক্যামেরাম্যানরা মাঝখান থেকে সরে গিয়ে হলের দু’পাশে অবস্থান নেন। এ সময় পেছনের দর্শকরা হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তোর জন্যই যাত্রী নেই! জাহিদুল আলম জয় ॥ ২০১৫ সালের ঘটনা। তখন ঢাকা শহরে এখনকার যত্রতত্র সিটিং বাসের মতো এতটা চিটিং ছিল না। বেশিরভাগ রুটেই লোকাল বাসের সংখ্যা ছিল বেশি। একদিন মিনিবাসে রামপুরা থেকে আসছি পল্টন। কোন এক কারণে ওইদিন রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। বাসেও একই অবস্থা, যাত্রী কম। যাত্রী কম থাকলে ড্রাইভার, হেলপারদেরও মাথা ঠিক থাকে না। আমি বসেছিলাম ড্রাইভারের ঠিক পেছনের সিটে। শুরু থেকেই লক্ষ্য করছিলাম, যাত্রী কম থাকায় মেজাজটা তার চড়া। তিনি মাঝেমধ্যেই ক্ষোভটা উগড়ে দিচ্ছিলেন তাঁর ৮/১০ বছরের পিচ্চি হেলপারের ওপর। পুরো রাস্তাতেই বকাঝকা করেছেন। কেন যাত্রী নেই! বাস কেন ফাঁকা!! পল্টনে এসে ড্রাইভার আর মেজাজটা ধরে রাখতে পারলেন না। ছোট্ট হেলপারকে কাছে ডাকলেন। এরপর আচমকাই দু’গালে কয়েকটা থাপ্পড় কষে বললেন, ‘কি করস, গলায় জোর নাই। পাবলিকরে ডাকতে পারস না। তোর জন্যই যাত্রী উঠেনি বাসে’। থাপ্পড় খেয়ে বেচারার গাল দু’টো তো লাল হলোই, কাঁদতে লাগল অঝোরে। [email protected]
×