ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে মুটিয়ে যাচ্ছে শিশুরা, চার দশকে বেড়েছে দশ গুণ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১২ অক্টোবর ২০১৭

বিশ্বজুড়ে মুটিয়ে যাচ্ছে শিশুরা, চার দশকে বেড়েছে দশ গুণ

শিশু ও কিশোরদের শারীরিক স্থূলতা বা ওবেসিটির হার গত চার দশকে দশগুণ বেড়েছে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, সারা দুনিয়ায় বারো কোটি চল্লিশ লাখ ছেলেমেয়ে এখন অতিরিক্ত মোটা। গবেষকরা দেখছেন, শীঘ্রই ‘অপুষ্টি’ শব্দটির স্থান নিয়ে নেবে ‘ওবিস’ শব্দটি। নামজাদা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ল্যানচেট দু’শ’রও বেশি দেশের মুটিয়ে যাবার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। বুধবার ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে বা বিশ্ব শারীরিক স্থূলতা দিবসে এসে এই গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে ল্যানচেট। এতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়েসীদের মধ্যে প্রতি দশ জনের একজনই ওবিস বা অস্বাভাবিক স্থূল। এই ওবিস শিশুরা ভবিষ্যতে ওবিস পূর্ণবয়স্ক হিসেবে বেড়ে ওঠে আর ওবেসিটি তাদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দেয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ল্যানচেট সতর্ক করে দিচ্ছে, যে হারে বিশ্বে ওবেসিটি বাড়ছে, তাতে ২০২৫ সাল নাগাদ ওবেসিটি জনিত অসুস্থতার চিকিৎসা ব্যয় বিশ্বজুড়ে ৯২০ বিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। এই গবেষণার মুখ্য গবেষক এবং ই¤েপরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক মজিদ এজ্জাতি বলছেন, যদিও যুক্তরাজ্যসহ উচ্চ আয়ের ইউরোপীয় দেশগুলোতে শিশুদের ওবেসিটির হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে, কিন্তু বিশ্বের বহু জায়গাতেই সেটা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। গবেষকরা মনে করছেন, সস্তা ও স্থূল করে দেয় এমন খাবার সহজলভ্য হয়ে ওঠা এবং এসব খাবারের ব্যাপক প্রচার এর জন্য দায়ী। ওবেসিটি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পূর্ব এশিয়ায়। চীন ও ভারতে সম্প্রতি এই হার ফুলেফেঁপে উঠতে দেখা গেছে। ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে ছেলেদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলায় ওবেসিটির হার সবচাইতে বেশি। এরপরই আছে মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, আলজিরিয়া, তুরস্ক, লেবানন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, বতসোয়ানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তারপরই আছে চীন, পেরু, কলম্বিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, ¯েপন, ইতালি, ব্রিটেন, গ্রিনল্যান্ড । বিশ্বের বাকি দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫% এর কম ওবেসিটিতে ভুগছে। পলিনেশিয়া এবং মাইক্রোনেশিয়ায় রয়েছে সর্বোচ্চ ওবেসিটির হার। এসব দেশের প্রায় অর্ধেক তরুণ জনগোষ্ঠীই হয় স্থূল নয়ত অতিরিক্ত ওজন তাদের। গবেষকরা দেখছেন, শীঘ্রই ‘অপুষ্টি’ শব্দটির স্থান নিয়ে নেবে ওবিস শব্দটি। ২০০০ সাল থেকেই বিশ্বজুড়ে অপুষ্ট অর্থাৎ স্বল্প ওজনের ছেলেমেয়ের সংখ্যা কমছে। -বিবিসি
×