ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুই বছর বয়সী সাক্ষী

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১২ অক্টোবর ২০১৭

দুই বছর বয়সী সাক্ষী

শিশুটির বয়স কেবল দুই বছর। সবে কথা বলতে শিখেছে। অথচ সে-ই কিনা বিশেষজ্ঞ দলের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাক্ষ্য দিয়েছে। ব্রিটেনের ইতিহাসে এত কম বয়সী সাক্ষী আর নেই। তার থেকে পাওয়া প্রমাণ অনুসারে শিশু যৌন হয়রানির দায়ে এক ব্যক্তিকে দশ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি আদালতে শিশুটির কাছ থেকে তথ্যপ্রমাণ নেন। পুলিশের সহায়তায় তিনি শিশুটিকে আদালতে হাজির করেন। শিশুটি আদালতে বিচারকের সামনে সাক্ষ্য দেয়। শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের যৌন হয়রানি রোধে এই মামলাটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অপরাধীরা আগে ভাবত, যৌন হয়রানির শিকার কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীরা নীরব থাকবে। কিন্তু এই সাক্ষ্য বলে দেয়, এসব ক্ষেত্রে নীরব থাকার দিন শেষ হয়ে গেছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ডেম জয়সি প্লটনিকফ বলেন, অপরাধীরা সাধারণত সমাজের সেই সব শ্রেণীকে টার্গেট করে, যারা ঘটনার বিবরণ দিতে অপারগ। অথবা অপরাধের শিকার ব্যক্তি নীরব থাকবে বলে নিশ্চিত হয়ে যায়। এখানে এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে ন্যায়বিচার অসম্ভব হয়ে পড়ে। শিশুরা সাধারণত কথা বলতে চায় না। ভয় পায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে হেসে খেলে মজা করে কথা বললে জবাব দেয়। শিশুরা আদালতের কাছে অপরাধীর নাম বলতে পারে। অথবা পুতুল ব্যবহার করে নির্যাতনের বর্ণনা দিতে পারে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যখন ওই শিশুটির মুখ থেকে নির্যাতনের নমুনা সংগ্রহের জন্য রাবার গ্লোভ পরে আসেন, তখন সে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে খেলার ছলে নমুনা সংগ্রহ করেছে। তারা শিশুটির দাঁত ব্রাশ করে দিচ্ছে বলে ভান করে মুখ থেকে নির্যাতনের নমুনা নেয়।- মেইল অনলাইন
×