ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাক-ভারতের জয়, বাংলাদেশ-জাপানের হার

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১২ অক্টোবর ২০১৭

পাক-ভারতের জয়, বাংলাদেশ-জাপানের হার

রুমেল খান ॥ প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঠিকভাবে হলে সাফল্য আসবেই। কিন্তু স্বাগতিক বাংলাদেশের বেলায় তা হলো না। এশিয়া কাপ হকির দশম আসরে তিক্ত ও বড় হার দিয়েই শুরু করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বুধবার ঢাকার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে পুল ‘এ’র ম্যাচে তারা প্রতিপক্ষ ও তিনবারের শিরোপাধারী পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ০-৭ গোলে। এর আগের ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশী ভারত জিতে শুভসূচনা করে। তারা বেশ আয়েশীভাবেই হারিয়ে দেয় জাপানকে। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ৫-১। দুপুর আড়াইটায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হবার কথা থাকলেও আধাঘণ্টা দেরিতে উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বাহফের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার, শফিউল্লাহ আল মুনীর, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক, টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক হিরো মটর্সের উর্ধতন কর্মকর্তা অজয় সিনহা, এএইচএফের স্পোর্টস ডিরেক্টর এলিজাবেথ ফার্স্ট প্রমুখ। সুদীর্ঘ ৩২ বছর পর বাংলাদেশে আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া কাপ হকির আসর। বহুল আলোচিত এই আসর আয়োজন করতে গিয়ে বিপাকেই পড়ে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। এশিয়ান হকি ফেডারেশন স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন সংস্কার কাজ করার জন্য বাহফেকে সময় বেঁধে দিয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু তারপরও এই সময়ের মধ্যে কোন কাজই সম্পূর্ণভাবে শেষ করতে পারেনি বাহফে। গত ৬ অক্টোবর থেকেই বাংলাদেশে আসতে শুরু করেন এশিয়া হকি ফেডারেশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। তারা সবকিছু পরিদর্শন করেন। বাহফে তাদের আশ্বাস দেয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ঠিকই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই আশ্বাসেই কর্মকর্তারা মিডিয়াকে জানান, সব কাজ ঠিকমতোই হচ্ছে, তারা সন্তুষ্ট। নিজেদের মাঠে কৃত্রিম আলোয় ঐতিহাসিক ‘প্রথম’ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সে ম্যাচ উপভোগ করতে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে হাজির হয় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক। যদিও তাদের ফ্রি টিকেটে গ্যালারিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয় বাহফে। কিন্তু তাদের কোন সমর্থনই কাজেই আসেনি। ইতিহাস বদলানোর দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে নীল টার্ফে স্টিক নিয়ে নেমেছিলেন জিমিবাহিনী। কিন্তু ইতিহাস আর বদলানো হলো না। হকি ম্যাচে পেনাল্টি কর্নার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা থেকে গোল করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অথচ বুধবারের ম্যাচে এই কাজে বাংলাদেশ দল ছিল সুপারফ্ল্প। একটি পিসিও পায়নি তারা। পাকিস্তানের সঙ্গে গতি ও কৌশলে বারবার হার মানে তারা। মাঝমাঠে কোন আধিপত্যই বিস্তার করতে পারেনি বাংলাদেশ। মিডফিল্ডার সারোয়ার হোসেনের এই আসরে নিষেধাজ্ঞার জন্য খেলতে না পারায় এই ম্যাচে প্রতি মুহূর্তেই তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে তার অভাব। অথচ ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে দারুণ খেলে কোন গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ১টি, তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারে ৩টি করে গোল হজম করে স্বাগতিক দল (নিয়ম অনুয়ায়ী প্রতি কোয়ার্টার ১৫ মিনিট করে অনুষ্ঠিত হয়)। এ আসরে পুল ‘এ’তে ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও বাংলাদেশ এবং পুল ‘বি’তে আছে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ওমান। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়। যেখানে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ ভারত। এখন দেখার বিষয় ওই ম্যাচে কেমন করে মাহবুব হারুনের শিষ্যরা।
×