ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা বিতাড়নে কৌশলী মিশনে নেমেছে মিয়ানমার বাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১২ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা বিতাড়নে কৌশলী মিশনে নেমেছে মিয়ানমার বাহিনী

হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ সহিংসতায় রাখাইন প্রদেশ থেকে দফায় দফায় যে সংখ্যক রোহিঙ্গা বিতাড়িত হয় তারা সবাই ফিরে না। চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার একপর্যায়ে তাদের ফেরত নিতে রাজি হলেও একটি বড় অংশই ফিরতে রাজি হয় না। আর এভাবেই রাখাইনে কমছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। রোহিঙ্গা বিতাড়নের মিশন নিয়ে তা সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে দেশটি। নিপীড়নে যে সংখ্যক পালাবে তার অর্ধেক ফেরত আসবে, বাকিরা থেকে যাবে বাংলাদেশেই। অভিজ্ঞতার আলোকে এই কৌশলটি গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। এদিকে, বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা স্রোতের মধ্যে বুধবার মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল এক সম্প্রীতি সমাবেশ। বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম ও খ্রীস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে এই আন্তঃধর্মীয় সমাবেশে হিংসা পরিহার করে বন্ধুত্ব ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। মিয়ানমারের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন সকল ধর্মের নেতারা। রোহিঙ্গা বিতাড়নের ঘটনা এর আগে আরও ঘটলেও এবারের নির্যাতনের মাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। একসঙ্গে এত রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ আগে ঘটেনি। অত্যাচারের মাত্রা রোহিঙ্গাদের মনে এতটাই দগদগে হয়ে আছে যে, ভাবতেই তারা শিউরে ওঠে। মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নেবে কিনা তার চেয়েও যেন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে আশ্রিতরা ফিরতে চায় কিনা। কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে যারা অবস্থান করছে তাদের বেশিরভাগই বিশ্বাস করে না যে, বর্মী সরকার তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপত্তা দিয়ে পুনর্বাসন করবে। বরং আবারও একই কায়দায় নির্যাতন চলবে বলে আশঙ্কা তাদের। এদিকে, রাখাইনে সক্রিয় সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কোন পরিকল্পনা মাঠে গড়াচ্ছে কিনা তা নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। কেননা, এর আগে গত ২৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে এ সংগঠনটির হামলার জের ধরেই শুরু হয়েছিল রোহিঙ্গা পল্লীতে সেনা অভিযান। অনুরূপ কোন নাটক মঞ্চস্থ হলে হয়তো বা বাকি যারা রয়েছে তাদেরও সেখান থেকে তল্পিতল্পা গোটাতে হবে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী এবং দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তদারকিতে শৃঙ্খলা অনেকটাই এসেছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। ত্রাণ বিতরণে এখন আগের মতো সমন্বয়হীনতা নেই। চেষ্টা চলছে স্লিপের মাধ্যমে লাইনে দাঁড় করিয়ে এবং সম্ভব হলে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণের। চলছে সাড়ে ছয়লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে কলেরার টিকাদান কর্মসূচী। তাছাড়া বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে শুকনো মৌসুম আসার এ সন্ধিক্ষণে কাটতে শুরু করেছে প্রকৃতির স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়া আবাসনগুলোতে এখন আর আগের মতো পানি জমছে না। এতে করে তাদের কষ্ট পুরোপুরি লাঘব না হলেও এলাকাটি তাদের জন্য বাসযোগ্য হয়ে উঠছে। তবে বাংলাদেশের মানবিক আচরণ এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা এক ধরনের হাতছানি হিসাবে কাজ করছে নাফ নদীর ওপারে রাখাইন প্রদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রতি। সে কারণেই রোহিঙ্গা আসা থামছে না বলে মনে করছেন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা। সীমান্তের ওপার থেকে এখন যে তথ্যগুলো আসছে তাতে ধারণা, রাখাইনে নির্যাতন এখন আর আগের মাত্রায় নেই। অনেক এলাকায় সেনাবাহিনীর টহলও দৃশ্যমান নয়। তবে এখন আর সেভাবে মারপিট করা লাগছে না। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকিই রোহিঙ্গাদের রাখাইন ত্যাগের জন্য যথেষ্ট। আঙ্গুল উঁচিয়ে ধমক দিলেই তারা পাড়ি দিচ্ছে নাফ নদ। তবে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাওয়ার খবরটিও তাদের আসতে উৎসাহিত করছে। এপারে যারা রয়েছে তারা মোবাইল টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে এখানকার সামগ্রিক অবস্থা। বেকায়দায় থাকা স্বজনদের বলছে বাংলাদেশে চলে আসতে। এখন আসা রোহিঙ্গারা নির্যাতনের যে বর্ণনা দিচ্ছে তা আগের মতো আর বিশ্বাস করছে না টেকনাফ এবং উখিয়ায় বসবাসরত স্থানীয়রা। ইয়াঙ্গুনে সম্প্রীতি সমাবেশ বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা স্রোত অব্যাহত থাকলেও এরমধ্যে মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা ও সম্প্রীতি সমাবেশ। ইয়াঙ্গুন স্টেডিয়ামে সমবেত হয় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেখানে সকল সম্প্রদায়ের নেতারা হাতে হাত মেলান এবং সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টির শপথ নেন। তারা বলেন, হত্যা এবং হিংসায় মিয়ানমারের উন্নতি হবে না। বরং বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এ পথ ত্যাগ করে সকলকে শান্তির পথে আসতে হবে। ত্রাণ তৎপরতায় তিন এনজিও’র ওপর নিষেধাজ্ঞা ত্রাণ তৎপরতার পেছনে খারাপ উদ্দেশ্য থাকায় রোহিঙ্গা শিবিরে তিন এনজিওর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। অভিযুক্ত এনজিওগুলো হচ্ছে মুসলিম এইড বাংলাদেশ, ইসলামিক রিলিফ এবং আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন। এ তিন সংস্থার সঙ্গে মৌলবাদী সংগঠনের যোগসূত্রতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। এনজিও ব্যুরো থেকে অনুমতি না নিয়েই এনজিওগুলো সেখানে কাজ করছিল। এ ধরনের আরও এনজিও থাকলে সেগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা এসেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এই তিন এনজিও ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নানা মতবাদে বিশ্বাসী করার প্রয়াস চালাচ্ছে। ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে দু’মাস খাওয়াবে কারিতাস মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপদগ্রস্ত ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে দু’মাস ধরে খাওয়ানোর কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে এ কার্যক্রম চালাবার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি। তাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারে সাতজন হিসেবে ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করা। কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক জেমস গোমেজ জানান, ইতোমধ্যেই তারা কিছু ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ ইত্যাদি। মিয়ানমারে জীবিকা বন্ধ রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্য ছাড়তে বাধ্য করার পরিকল্পনায় রোহিঙ্গাদের জীবিকার ওপর আসছে আঘাত। সেনাবাহিনীর নির্যাতনে কোথাও বের হতে না পারায় উপার্জন বন্ধ রয়েছে সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের। ফলে চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয়ায় অবশিষ্ট রোহিঙ্গারাও ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে। মঙ্গল ও বুধবার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, লম্বাবিল, উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া, রহমতের বিল ও ধামনখালী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে ১০ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক টেকনাফের হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। ধৃত যুবক মোঃ ইদ্রিস উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের ডি ব্লক ৪ এর শেড নং ৫০৭ এর শামসুল আলমের পুত্র। বুধবার সকালে নাফ নদী পার হয়ে মহাসড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে ইয়াবাসহ আটক করে। নাফ নদী থেকে জীবিত ১১ রোহিঙ্গা উদ্ধার মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে সাঁতার কেটে শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদী পাড়ি দিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছে ১১ রোহিঙ্গা যুবক-কিশোর ও শিশু। সাঁতারকেটে আসা যুবক হামিদ হোসেন বলেন, তারা বুধবার সকাল ৭টায় মিয়ানমারের ওপার থেকে সাঁতারকাটা শুরু করে ৯টা ৩০ মিনিটের সময় কোস্টগার্ড বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে তাদের উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে আসে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন এদিকে জাতিগত নিধনের মুখে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের আরাকানে প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে তুলতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সুসংগঠিত, সুসমন্বিত ও পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। গত মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৬৫ রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার নিয়েছে ইউএনএইচসিআর। তাদের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২৫ আগস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা পুলিশ ঘাঁটিতে হামলা করার আগেই জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ করে।-খবর আল জাজিরা অনলাইনের। রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যাকে এর আগে জাতিসংঘ জাতিগত নিধনের জ্বলন্ত উদহারণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইউএনএইচসিআরের প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসাইন বলেন, ব্যাপকসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বল প্রয়োগে বিতাড়নের পর তাদের প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে তুলতে নৈরাজ্যমূলক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সরকার। সংস্থাটির জেনেভা দফতর থেকে দেয়া সর্বশেষ প্রতিবেদন জানায়, বিশ্বাসযোগ্য সূত্র আভাস দিয়েছে যে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে রোহিঙ্গাদের সম্পদ ধ্বংস করেছে। গ্রামের পর গ্রামজুড়ে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। দেশ থেকে বিতারণের পর রোহিঙ্গারা যাতে কখনও তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে না পারে, সেই সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতেই এমন নিধন চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী, উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের ফসলের মাঠ, খাদ্য ভা-ার, শস্য ও গবাদিপশু ধ্বংস করে দিয়েছে। রোহিঙ্গারা ফিরে আসলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব করে তুলতেই এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, এমনকি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত করতে সীমান্তজুড়ে ভূমি মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ এখনও চলছে বলেও আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তারা গত ১৪ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বাচার অগ্নিকা-, বাড়িঘর অগ্নিকা-, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা ও জখম করার ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। রোহিঙ্গারা তাদের কাছে বলেছে, খুব কাছ থেকে গুলি করেই অধিকাংশ হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে। যাতে আড়ালে যারা রয়েছেন, তারা আতঙ্কে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘরের আগুন দিয়েও রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করা হয়েছে। বেশকিছু সাক্ষ্য থেকে জানা গেছে, রকেট থেকে গ্রেনেড ছুড়েও বসতবাড়ি ভস্মীভূত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাত থেকে পাঁচ থেকে সাত বছরের কন্যা শিশুরাও রেহাই পায়নি। আত্মীয়-স্বজনের সামনে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা লোকজন তাদের ধর্ষণ করেছে। বারো বছরের এক রোহিঙ্গা শিশুকন্যা জানায়, সেনা সদস্য ও বৌদ্ধরা তাদের ঘর ঘিরে রাখে। পরবর্তীতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
×