ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বটিয়াঘাটায় সড়ক ভাঙছে ॥ হুমকির মুখে বাঁধ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১২ অক্টোবর ২০১৭

বটিয়াঘাটায় সড়ক ভাঙছে ॥ হুমকির মুখে বাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বটিয়াঘাটা উপজেলার বরণপাড়া এলাকায় খুলনা-চালনা সড়কের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে কাজিবাছা নদীতে বিলীন হয়েছে। বরইতলা এবং কিসমত ফুলতলা এলাকায় একই সড়কে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সড়কটি। এটি খুলনা থেকে চালনা ও দাকোপ উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক পথ। অবিলম্বে ভাঙ্গন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়া না হলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ উপজেলার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত ৯ অক্টোবর শিয়ালীডাঙ্গা এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে নদীর উপচেপড়া পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পাকা করে খুলনা-চালনা সড়ক পথ চালু করা হয়। এ রাস্তা দিয়ে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন চলাচল করে থাকে। ইতোপূর্বে বটিয়াঘাটা বাজার ও সংলগ্ন এলাকার বেড়িবাঁধ (রাস্তা) নদী গর্ভে চলে গেছে। রাস্তা ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ায় এর আগে একাধিকবার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকল্প পথ তৈরি করে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। বর্তমানে গঙ্গরামপুর ইউনিয়নের বরণপাড়া এলাকার রাস্তায় মারাত্মক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বটিয়াঘাটা ইউনিয়নের বরইতলা এবং কিসমত ফুলতলা এলাকায় একই সড়কে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সড়কটি। ব্যাপক ভাঙ্গনে পাকা রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, খুলনা-চালনা সড়ক ছাড়াও বটিয়াঘাটার অন্তত ছয়টি স্থানে পানি উন্নয়ন বের্ডের বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ অক্টোবর দুপুরে কাজীবাচা নদীর পানির প্রবল চাপে শিয়ালীডাঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে পানি প্রবেশ করে। এতে আমন ধানের ক্ষেত প্লাবিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরীর হস্তক্ষেপে গ্রামবাসী বাঁধ মেরামতের কাজ করে। এছাড়া এ উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের গাওঘরা, বারো আড়িয়া, জলমা ইউনিয়নের কচুবুনিয়া, মাথাভাঙ্গাসহ কয়েকটি স্থানও রয়েছে ঝুঁকিতে।
×