ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিকল্প ধারাও

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১১ অক্টোবর ২০১৭

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিকল্প ধারাও

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিকল্পধারাও চায় আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হোক। তবে সেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে নবম সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী দলসমূহের সমন্বয়ে। তাদের মতে, বর্তমান সংসদের কোন বৈধতা নেই। তাই দশম সংসদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হতে পারে না। একই সঙ্গে তারা নির্বাচনের এক মাস আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায়। সহিংসতা রোধে নির্বাচনের পর ১৫ দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারে বলে বলে প্রস্তাব দিয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনাকালে তারা ১৩ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বেলা ১১টায় দলের চেয়ারম্যান বি চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম নুরুল হুদা। সংলাপ শেষে বিকল্প ধারা প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব অযৌক্তিক। বর্তমান সংসদকে সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত বলা যায় না। কারণ, এই সংসদে অর্ধেকের বেশি বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন। নির্বাচনের একমাস আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য এটা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আস্থা আছে কি না জানতে চাইলে বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমান ইসির জনগণের আস্থা অর্জনের মনোভাব রয়েছে। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্ব রোধে পোলিং অফিসার থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ’ ছুয়ে শপথ করতে হবে যে কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হবেন না। আর এটা নিশ্চিত করা গেলে বুথে কোন এজেন্ট প্রয়োজন হবে না। প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা যে জেলায় ভোটার হবেন তাকে সেই জেলার দায়িত্ব দেয়া যাবে না। ভোটার তালিকা নির্ভুল এবং হালনাগাদ করতে হবে। প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিশন কিছু কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে। এতে বিভিন্ন বিতর্ক এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ মুহূর্ত থেকে আর কোন সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজন নেই।
×