ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ মামুন রশীদ

মহা খুশি ডু প্লেসিস

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১১ অক্টোবর ২০১৭

মহা খুশি ডু প্লেসিস

পেসারদের দাপটেই নতিস্বীকার করেছে বাংলাদেশ দল। দুই টেস্টেই নাস্তানাবুদ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বলে দিশেহারা হয়ে। বিশেষ করে শর্ট অব লেন্থে করা বল, বাউন্সারের প্রতি সফরকারী ব্যাটসম্যানদের ভীতি স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছিল। আর সেই দুর্বলতা বুঝতে পেরে প্রোটিয়া পেসাররাও অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এটিকে। তাই দলের পেসারদের নিয়ে দারুণ খুশি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তবে বাংলাদেশের কাছে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলেন সেটা না হওয়াতে তিনি অবাক হয়েছেন। প্লেসিস মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো পরিবেশে ও উইকেটে ভাল করতে হলে শর্ট বল ভালভাবে মোকাবেলা করা জরুরি। এ কারণে তিনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এ ধরনের বল মোকাবেলা করা শিখতে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বেহাল দশা ছিল বাংলাদেশের। দুই টেস্টে যা ছিল চোখে পড়ার মতোন। সেই বেহাল দশায় দ্বিতীয় টেস্টে বরণ করতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা। যার পেছনে ছিল শর্ট বলে অস্বস্তিতে থাকা ব্যাটসম্যানদের। আর এই শর্ট বলের ভয়টাকেই কাটিয়ে উঠতে বললেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। বাংলাদেশকে উপযাচক হয়েই তিনি বললেন, ‘সহজ ভাষায় বাউন্স খেলাটা এখানে অস্বস্তিকর। তাই শর্ট বলের ভয়টাকে কাটিয়ে উঠতে হবে ওদের। আর পরিকল্পনা যদি থাকে, যে কিভাবে এর মুখোমুখি হবেন, তাহলে আরও ভাল করা যাবে।’ পেসাররা প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ১১ উইকেট তুলে নিয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে পেসাররাই পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় টেস্টে তারা শিকার করেন ১৯ উইকেট। যাতে ইনিংসে হারের ব্যবধান দাঁড়ায় ২৫৪ রান। ফলে দুই দিন আগেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই স্বাগতিক দলের অধিনায়কই জানালেন আশা করেছিলেন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ‘গত এক দুই বছরে ওদেও খেলা দেখলে দেখবেন ওরা কিন্তু ভাল মানের টেস্ট দল। তাই আমি আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলাম। ওদের সিরিজ জেতার আশা হয়ত করিনি। কিন্তু মনে করেছিলাম কয়েক সেশন হয়তো ওরা আমাদের চাপে রাখবে। কারণ ওদেও সেই দক্ষতা রয়েছে।’ যেখানে প্রোটিয়া পেসাররা দারুণ সফল হয়েছেন, বাংলাদেশের পেসাররা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি প্রতিপক্ষের ওপর। একই উইকেটে এই ভিন্নতার কারণেই শুধু ব্যাটিং নয়, বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ নিয়েও বিশ্লেষণ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। জানালেন প্রোটিয়া কন্ডিশনে পেস আক্রমণে কর্মক্ষতা কম ছিল বাংলাদেশের। কারণ এখানে যেই ধার প্রয়োজন সেটা ছিল না সফরকারী বোলারদের। একই সঙ্গে বোলারদের দৈহিক উচ্চতাকেও বড় ত্রুটি হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘বাংলাদেশের কিন্তু লম্বা বোলার নেই। এই কন্ডিশনে খেলতে হলে লম্বা বোলার প্রয়োজন। যারা প্রয়োজনে বাউন্স করাতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা অস্ট্রেলিয়া যেখানেই খেলেন প্রয়োজন গতি ও বাউন্স।’ এক্ষেত্রে দেশের পেসারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। কারণ যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই বোলিং করে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করেছে তার দলের পেসাররা। কাগিসো রাবাদাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তরুণ ডুয়ান অলিভিয়ের। অভাব বুঝতে দেননি মরনে মরকেল, ডেল স্টেইন কিংবা ভারনন ফিল্যান্ডারের। এ বিষয়ে প্লেসিস বলেন, ‘সবাই তরুণ বোলারদের কাছ থেকে এমনটাই আশা করে। উন্নতি দেখতে চায় এবং উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে তারা কত দ্রুত শিখতে পারছে সেটাই জরুরী। যেভাবে অলিভিয়ের বোলিং করেছে সেটা চমৎকার।’
×