ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রকল্প ‘বুস্ট ইওর বিজনেস’

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১১ অক্টোবর ২০১৭

নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রকল্প ‘বুস্ট ইওর বিজনেস’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে ‘বুস্ট ইওর বিজনেস’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এই প্রকল্পের আওতায় আগামী ৬ মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড গবর্নেন্স (এলআইসিটি) আইটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০ হাজার তরুণ-তরুণী ও উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রথম ধাপে ৩শ’রও বেশি তরুণ-তরুণী ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে। ফেসবুক এ প্রশিক্ষণে দেশে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, এলআইসিটির কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ, ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি প্রোগ্রামের প্রধান রিতেশ মেহতা, মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এ্যান্ড কমিউনিকেশনসের (এমসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আবীর প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি প্রোগ্রামের প্রধান রিতেশ মেহতা বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই অর্থনীতির মেরুদ-। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ফেসবুক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশ-বিদেশের বাজারে প্রবেশাধিকারে সহযোগিতা করতে পারে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) পারস্পরিক যোগাযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি পণ্যের বিপণনেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফলে মাধ্যমটি হয়ে উঠছে ভার্চুয়াল বাজার। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিশাল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে ব্যক্তি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে কাজে লাগাচ্ছে। দিনে দিনে এ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও প্রসারিত হবে। তৈরি হবে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। ফেসবুক নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সরকারের এলআইসিটি প্রকল্প ও ফেসবুকের যৌথ উদ্যোগে আগামী ৬ মাসে আমরা ১০ হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। যেসব উদ্যোক্তা আসবে তাদেরও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আশা করি এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তাছাড়া ২০২১ সালের আগেই দেশের প্রতিটি নাগরিকের নাগালে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হবে। ইন্টারনেট হাতের কাছে পেলে গ্রামের সাধারণ মানুষটিও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উদ্যোগী হয়ে উঠতে পারবে। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রফতানি করে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এই অংক ৫ বিলিয়নে উন্নিত করার টার্গেট নেয়া হয়েছে।
×