খালেদা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত, সরকার নয় ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সরকার করেনি। এখানে সরকারের ষড়যন্ত্রের কিছু নেই। ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কি সরকারের গ্রেফতারি পরোয়ানা? না আদালতের। আদালতের কোন আদেশ বা রায় যখন সরকারের বিরুদ্ধে যায় তখন বিএনপির খুশি রাখার জায়গা থাকে না। খুশিতে তারা আটখানা হয়ে যায়। আবার কোন রায় বা আদেশ যখন তাদের বিরুদ্ধে যায় তখন তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। এটার অর্থ হচ্ছে আদালতের রায়কে অমান্য করা। আমার প্রশ্নÑ তারা কি আদালতের রায়কে অমান্য করতে চান। যখন ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেয় তখন বিচার বিভাগ স্বাধীন। আবার তাদের বিরুদ্ধে যখন রায় বা আদেশ যায় তখন সেটা সরকারের হস্তক্ষেপ। সরকার ষোড়শ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে যখন হস্তক্ষেপ করেনি, এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে কেন? ষোড়শ সংশোধনীর রায় দিতে সাহস পায় বিচারক, এই আদেশ দিতে বিচারক সাহস পাবে না এটা মনে করার কোন কারণ নেই। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় অবস্থিত ওজন স্কেল মেশিনের লোড-আনলোডের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে বলেন, আমি মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলব, যে বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাকে জিজ্ঞাসা করুন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আদেশ দিয়েছেন কিনা? বিএনপির আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে দ্বিচারনতা কেন? মন্ত্রী বলেন, আগামী নবেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে মহাসড়ক রক্ষায় ওজন স্কেলের নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে কোন ছাড় দেয়া হবে না। অতিরিক্ত মাল বোঝাই কোন ট্রাক বা লরি রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বিষয়টি মালিক শ্রমিক নেতাদের মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সরকারের স্কেল নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। নামমাত্র জরিমানা দিয়ে কিভাবে অতিরিক্ত লোড গাড়ি পার হচ্ছে তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।