ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১১ অক্টোবর ২০১৭

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১০ অক্টোবর ॥ সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৯ জন। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের ১৩টি বাড়ি ভাংচুর ও লুট করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, খাগৈর ও গুড়দিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বসু হত্যাকান্ড এবং এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য গোবিন্দপুর গ্রামের শের আলী খানের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক খাগৈর গ্রামের দেলোয়ার খার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার দেলোয়ারের সমর্থকরা সন্ধ্যায় খাগৈরের কানাই ও আয়নাল মিয়ার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষের পাঁচ শতাধিক সমর্থক ঢাল, সড়কি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ শটগানের ১০টি গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জহুরা বেগম নামে (৫৭) এক বৃদ্ধ নিজ বাড়িতে ইটের আঘাতে নিহত হন। তিনি গোবিন্দপুর গ্রামের মান্নান মাতুব্বরের স্ত্রী। মান্নান মাতুব্বর দেলোয়ার খাঁর সমর্থক। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৯জন আহত হন। এর মধ্যে ১৭ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফায়েকুজ্জামান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ॥ আহত ২০ নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, কেরানীগঞ্জে বিএনপি ও আ’লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে জিনজিরা বাস রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সিরাজুল ইসলাম নামে বিএনপির এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে জিনজিরা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক নিপুন রায় চৌধুরী, যুবদল সভাপতি মোকারম হোসেন সাজ্জাদসহ শতাধিক নেতাকর্মী। পরে তারা বাস রোড সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় আ’লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে দুই দলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক নিপুন রায় চৌধুরী অভিযোগ করেন, প্রতিবাদ সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকুর নেতৃত্বে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী লাটিসোটা নিয়ে পুলিশের সহায়তায় তাদের ওপর হামলা চালায়। এ অবস্থায় হামলাকারীদের ধরার পরিবর্তে পুলিশ উল্টো সিরাজুল ইসলাম নামে তাদের এক নেতাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
×