ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোটা পদ্ধতির মারপ্যাঁচ-এবার মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারবে না ৩০ হাজার

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ অক্টোবর ২০১৭

কোটা পদ্ধতির মারপ্যাঁচ-এবার মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারবে না ৩০ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর পেয়েও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন না প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। কোটা পদ্ধতির কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৮২ হাজার ৮৫৬ জনের মধ্যে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার ৮১৮। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে নেয়া পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। ৪০ নম্বর পেয়ে সরকারী ও বেসরকারী উভয় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৩২। তাদের মধ্যে ১৯ হাজার ৯১২ ছাত্র ও ২১ হাজার ২১০ ছাত্রী। এদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত ৯ হাজার ৩৪৩ জন দেশের সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। ৩১ সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন ৩ হাজার ৩১৮ এবং বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন ৬ হাজার ২৫। সরকারী ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলেই শুরু হবে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০-৮০ নম্বর পেয়েও সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন হাজারও ছাত্রছাত্রী। অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ৬৫ দশমিক ৫ নম্বর থেকে ৫৭ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বিভিন্ন সংরক্ষিত কোটার ম্যারপ্যাঁচে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর মেডিক্যাল কলেজে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। দেশের ৩১ সরকারী মেডিক্যাল কলেজে মোট ৩ হাজার ৩১৮ আসনের মধ্যে ৩ হাজার ২৩১ সাধারণ আসন, মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৬৭ এবং পশ্চাতপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০ আসন সংরক্ষিত। সাধারণ আসনের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। চলতি বছরের মেডিক্যাল ভর্তির প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৫ পেয়েছেন দু’জন ছাত্র । ৮০ থেকে ৯০ প্রাপ্তের সংখ্যা ৬৪৩। ৭০-৮০ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৬৮ (ছাত্র ১ হাজার ৬৯৭ ও ছাত্রী ২০৭১)। সাধারণ কোটায় ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ৭০ দশমিক ৫ পেয়ে সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সাধারণ আসনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিভাগের জন্য কোটা সংরক্ষিত রযেছে। সে কোটায় সর্বনিম্ন ৬৫ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েও ভর্তি সুযোগ পেয়েছেন অনেকে। পশ্চাতপদ জনগোষ্ঠীর উপজাতি ছাত্রছাত্রীরা সর্বনিম্ন ৫৭ দশমিক ৫ পেয়েও সরকারী মেডিক্যালে ভর্তির জন্য নির্বাাচিত হন।
×