ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এনায়েতপুরে ভাঙ্গন ॥ বিলীন তিন শতাধিক বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১১ অক্টোবর ২০১৭

এনায়েতপুরে  ভাঙ্গন ॥ বিলীন তিন শতাধিক বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সংবাদদাতা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ, ১০ অক্টোবর ॥ এনায়েতপুর থানা সদরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে যমুনার তীব্র ভাঙ্গন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদীতে চলে গেছে তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, তাঁতকারখানাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। এখনই ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে দেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট, ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেশ কয়েকটি মসজিদ-মাদ্রাসাসহ প্রায় ২০ হাজার ঘর-বাড়ি ও বহু তাঁত কারখানা বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে এনায়েতপুর পাচিল সড়ক ও থানা কমপ্লেক্স হুমকির মধ্যে পড়বে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে ভাঙ্গনরোধে এখনও কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি এমন অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। জানা গেছে, এনায়েতপুর থানার পূর্বদিক দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় প্রচন্ড নদী ভাঙ্গনে বহু ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। এরপর বন্যার সময় নদী ভাঙ্গন কিছটাু কমলেও পানি নেমে যাওয়ায় শুরু থেকেই যমুনার পশ্চিমপাড়ে শুরু হয়েছে প্রচন্ড ভাঙ্গন। আর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে গত এক সপ্তাহেই বিলীন হয়েছে ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দি, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, কুঠিপাড়া, ভেকা ও পাচিল গ্রামের প্রায় তিনশতাধিক ঘর-বাড়ি ও কয়েক শ’ একর আবাদি জমি। এছাড়া হাট বয়ড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বসন্তপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ব্রাহ্মণগ্রাম ও আড়কান্দি চরের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে গেছে নদীর পেটে। স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম সরকার অভিযোগ করে বলেন, যমুনা নদী থেকে এলাকার কিছু প্রভাবশালী অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গতিপথ পাল্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন জানান, নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতার বিষয়ে অবগত হয়েছি। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে বলা হয়েছে। তবে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
×