ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই মেম্বারের দ্বন্দ্ব

বাঘায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন স্কুলঘর ॥ প্রতিষ্ঠা অনিশ্চিত

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১১ অক্টোবর ২০১৭

বাঘায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন স্কুলঘর ॥ প্রতিষ্ঠা অনিশ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাঘায় নদীতে বিলীন একটি সরকারী প্রাইমারী স্কুল পুনঃনির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে স্কুল প্রতিষ্ঠা। ফলে এখনও সম্ভব হয়নি স্কুলঘর স্থাপন। অভিযোগ উঠেছে, একটি পক্ষ ঘর উঠালেও রাতের আঁধারে অন্য পক্ষ তা ভেঙ্গে দিচ্ছে। এ অবস্থায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনও রয়েছে নীরব ভূমিকায়। জানা গেছে, ১৯৫৫ সালে বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলের চৌমাদিয়া মৌজার টিকটিকিপাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় চৌমাদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালে সেটি সরকারীকরণ হয়। সেই থেকে বিদ্যালয়টি চৌমাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে। স্থানীয় চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, এ বছর বন্যায় ভাঙ্গন আতঙ্কে ওই স্কুলটি ভেঙ্গে লোকালয়ে সরিয়ে ফেলা হয়। তবে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী দিয়ার কাদিরপুর এলাকার লোকজনের দাবি ছিল স্কুলটি তাদের এলাকায় স্থাপন করার। সে লক্ষ্যে দিয়ার কাদিরপুরের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন তার ওয়ার্ডের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে স্কুলের বাস, খুঁটি, টিন। কথামতো শুক্রবার সকালে তিনি স্কুলঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন তার এলাকায়। তবে চৌমাদিয়া ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রহমান রাতের আঁধারে তার লোকজন নিয়ে নির্মাণ করা ঘর ভেঙ্গে দেন। তবে আব্দুর রহমান নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি ওইদিন বাড়িতে ছিলাম না। কারা এ কাজ করেছে তাও জানি না। তিনি বলেন ১৯৫৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত এক মৌজার স্কুল অন্য মৌজায় জোর করে স্থাপন করা হবে এটিও ঠিক নয়। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কারসাজি রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। বন্যার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পর শনিবার সকল প্রতিষ্ঠান চালু করা হলেও বাঘার চরাঞ্চলের চৌমাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বন্ধ রয়েছে।
×