ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জামিন পেলেন নওয়াজ কন্যা মরিয়ম ও স্বামী সফদার

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ অক্টোবর ২০১৭

জামিন পেলেন নওয়াজ কন্যা মরিয়ম ও স্বামী সফদার

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কন্যা মরিয়ম শরীফ ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সফদার সোমবার ইসলামাবাদে এ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি কোর্টে হাজিরা দেন। ন্যাশনাল এ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) আগে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ আহরণের অভিযোগ দায়ের করে। খবর ডনের। সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে মরিয়ম শরীফ মন্ত্রীবর্গ এবং দলীয় প্রবীণ নেতাদের নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। এরপর তার স্বামীকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। ক্যাপ্টেন সফদারকে লন্ডন থেকে পাকিস্তান পৌঁছার পর পরই এনএবি আটক করেছিল। নওয়াজ শরীফ কন্যা ও তার স্বামীকে লন্ডনের সহায়-সম্পত্তির উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। পাকিস্তান এ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি কোর্ট মরিয়ম তার স্বামীর বক্তব্য ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে এই দুইজনের প্রত্যেককে ৫০ লাখ রুপীর বিনিময়ে জামিন দেন। পরে মরিয়ম নওয়াজ ও তার স্বামী আলাদা আলাদাভাবে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। আদালতে শুনানি শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মরিয়ম বলেন, শাস্তি লাভের পরও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিচার কাজ অব্যাহত আছে এবং সেই শাস্তিটি হচ্ছে তার পিতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য প্রমাণ করে অপসারণ করা। তিনি আরও বলেন, এই বিচার কিয়ামত পর্যন্ত চলবে যতদিন পর্যন্ত না আমাদের পিতা বা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ কোন সদস্যকে কব্জা করা হচ্ছে। মরিয়ম নওয়াজ বলেন, সুপ্রীমকোর্টের অনুমোদনপ্রাপ্ত জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম বা যৌথ তদন্ত দল তাদের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে এমন সব প্রশ্ন অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছে যেসব অভিযোগের আদৌ কোন ভিত্তি নেই। তাই কোন উত্তরও নেই। তার ভাই হাসান ও হোসেন নওয়াজ কবে বা কখন আদালতে হাজিরা দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মরিয়ম বলেন, তারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তারা দেশের বাইরে থাকে, তাই পাকিস্তানের আইন তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ১১ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন গোধরায় ট্রেনে আগুন ভারতে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১১ আসামীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছে গুজরাট হাইকোর্ট। প্রায় দেড় দশক পর সোমবার গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন দেয়ার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। মামলাটির শুনানি শেষ হয়েছিল দু’বছর আগে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালে ওই অগ্নিকা-ের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয় বিশেষ টিম তদন্ত (সিট) আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৩১ জনকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হয়। সোমবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করেছে গুজরাট হাইকোর্ট। সিট আদালতে যাদের নিরাপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন গোধরা পৌরসভার প্রেসিডেন্ট মওলানা উমরজি। এছাড়াও মুহাম্মাদ হুসেন কালোটা, মুহাম্মাদ আনসারি, নারুমিয়া চৌধুরী।
×