ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্থায়ী ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্টার হচ্ছে

বোতাম টিপলেই মিলবে সব তথ্য-উপাত্ত

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৯ অক্টোবর ২০১৭

বোতাম টিপলেই মিলবে সব তথ্য-উপাত্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সকল নাগরিকের তথ্য সংবলিত একটি স্থায়ী ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্টার তৈরির কাজ চালাচ্ছে সরকার। এজন্য বাংলাদেশের সকল গ্রামে পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য শুমারির মাধ্যমে সকল পরিবারের সব নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিফতর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন চলছে ডাটা এন্ট্রির কাজ। এজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন বা আইসিআর নামে একটি মেশিন। এই মেশিনটি হাতের লেখাও পড়তে পারে। ডাটা এন্ট্রির পর তৈরি করা হবে একটি কম্পিউটার তথ্য ভা-ার। এই তথ্য ভান্ডরে প্রতিটি নাগরিকের পরিচিতি নম্বর থাকবে এবং প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও থাকবে। প্রতি মাসে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে বা কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে সংশ্লিষ্ট স্টাফরা তথ্য হালনাগাদ করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এই তথ্য ভান্ডর তৈরি হলে দেশের জনগণের হালনাগাদ জনমিতি, জন্ম-মৃত্যুর হার ও রোগ-ব্যাধিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য তথ্য যে কোন সময় কম্পিউটারের বোতাম টিপেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। যে কোন সার্ভে বা হাসপাতালে রোগী চিকিৎসার সময় রোগীর নাম-ঠিকানা লিখতে হবে না। পরিচিতি নম্বর থেকেই সব তথ্য বের করা যাবে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিক পাবে একটি লাইফ টাইম হেলথ রেকর্ড। বাংলাদেশ ৮ কোটি ভোটারের বিশ্বের বৃহত্তর ইলেক্ট্রনিক ভোটার তালিকা করে যেমন গর্বের অধিকারী, ১৫ কোটি মানুষের ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্ট্রার হলে তার চেয়েও অনেক বেশি গর্বের অধিকারী। এই ইলেক্ট্রনিক তথ্য ভান্ডার স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সরকার বর্তমানে জাতীয় পপুলেশন রেজিস্টার তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য জনমিতি সেই রেজিস্টারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশের সকল নাগরিকের তথ্যসংবলিত একটি স্থায়ী ‘ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্ট্রার’ তৈরির কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এভাবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যের সার্বিক চিত্র রেকর্ড করা হবে। আর সে অনুযায়ী দেয়া হবে স্বাস্থ্যসেবা। ধীরে ধীরে দেশের সব সরকারী হাসপাতালে অটোমেশন প্রযুক্তি প্রবর্তন করা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও অধস্তন অফিসমূহের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দের দৈনন্দিন অফিসের বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও অন্য কর্মসূচীতে ব্যস্ত থাকতে হয়। এমআইএস এ জন্য একটি অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এই সফটওয়্যারটির সুবিধা হলো কর্মকর্তা নিজে বা তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই কর্মসূচী সংযোজন, বিয়োজন বা সম্পাদনা করতে পারেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলে এই কর্মসূচী দেখতে পারেন এবং প্রিন্ট করে দৈনিক কর্মসূচীর ফ্রেমে লাগিয়ে দিতে পারেন। মাঝে মাঝে পূর্ববর্তী সময়ের কর্মসূচীগুলো বিশ্লেষণ করে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারেন।
×