প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৬৫তম জন্মদিনে ৮ অক্টোবর রাশিয়ার অন্তত ৮০টি শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির কারান্তরীণ বিরোধীদলীয় নেতা এ্যালেক্সি নাভালনির সমর্থকরা এসব বিক্ষোভের আয়োজন করে। খবর বিবিসির।
শনিবারের এ বিক্ষোভে নাভালনির সমর্থকরা আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাভালনিকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি জানায়। বিক্ষোভ চলাকালে রাশিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে পুলিশ ২৬০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয়েছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। এখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থল থেকে বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরে অন্তত তিন হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। এদের অধিকাংশের হাতেই নাভালনি ২০১৮ লেখা ব্যানার ছিল।
একদল বিক্ষোভকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ অনেককে আটক করে। পরে অবশ্য তাদের অধিকাংশকেই ছেড়ে দেয়া হয়। এদিন মস্কোর পুশকিন স্কোয়ারেও বিক্ষোভ করে কয়েক শ’ লোক। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ক্রেমলিনের দিকে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্মদিনে ডাকা এসব বিক্ষোভের অধিকাংশেরই অনুমোদন ছিল না। এমনকি রাজধানী মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গের বিক্ষোভও অননুমোদিত ছিল। ২০ দিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত নাভালনি এখন কারাগারে আছেন। বারবার আইন ভঙ্গ করে সমাবেশ করার দায়ে তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়। চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি।
