ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আয়কর সীমার নিচে অবস্থানকারীদের জন্য বিনামূল্যে আইনী সহায়তা

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৯ অক্টোবর ২০১৭

আয়কর সীমার নিচে অবস্থানকারীদের জন্য বিনামূল্যে আইনী সহায়তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এখন থেকে যেসব ব্যক্তির বার্ষিক আয় সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত আয়কর সীমার নিচে হবে তারা বিনামূল্যে সরকারী আইনী সহায়তা পাবেন। এ হিসেবে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার, মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সের ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৩ লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪ লাখ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার নিচে বার্ষিক আয়ভুক্ত ব্যক্তিগণ বিনামূল্যে সরকারী আইনী সহায়তা পাবেন। ইতোপূর্বে সুপ্রীমকোর্টে সরকারী আইনী সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং অধস্তন আদালতে সরকারী আইনী সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয়সীমা ছিল ১ লাখ টাকা। রবিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (এনএলএসও) জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের ৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরও যেসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়, তা হলো : আপীল বিভাগের এ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের (এওআর) ফি কাঠামো পুনঃবিবেচনার প্রস্তাব, বিবিধ মামলার ক্ষেত্রে (ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১এ/৪৯৮ ধারা) রিভিশন মামলার ন্যায় বিল প্রদানের প্রস্তাব, দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারগণের ‘দায়িত্বভাতা’ মাসিক ১০০০ টাকা হতে বর্ধিত করে ১৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব, শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটি প্রবিধানমালা, ২০১৬ সংশোধনের প্রস্তাব, চৌকি আদালতে লিগ্যাল এইড কমিটির জন্য ১৯টি খসড়া ফরম অনুমোদনের প্রস্তাব এবং জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারী সংস্থার একজন সদস্যকে মনোনয়ন প্রদানের প্রস্তাব। সভায় এনএলএসওর জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান কল্পে আইনগত সহায়তা আই, ২০০০’ প্রণয়ন করা হয়। বর্তমান সরকার এই আইনের সফল বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেন, আইনী সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করতে হবে এবং এ সেবা প্রদানে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে অবহিতকরণসহ জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
×