ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তোফা-তহুরা ফের ঢামেক হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ৯ অক্টোবর ২০১৭

তোফা-তহুরা ফের ঢামেক হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জোড়া যমজ বোন তোফা ও তহুরা সুস্থ হয়ে গোলাপী রঙের জামা পড়ে বাড়ি ফিরেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আবারও ঢামেক হাসপাতালে আসতে হলো তাদের। কারণ তোফা ও তহুরা গত এক সপ্তাহ যাবত জ্বরে ভুগছে। এ কারণে রবিবার বিকেলে তোফা ও তহুরাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় আসেন তাদের বাবা-মা। তোফা-তহুরার মা শাহিদা বেগম এ বিষয়ে জনকণ্ঠকে জানান, ‘কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছে তোফা-তহুরা। এখন তাদের জ্বর নেই, কিন্তু তহুরা ঘনঘন প্রস্রাব করছে। তাতে তীব্র গন্ধও রয়েছে। কোন কিছু খেতে চাচ্ছে না। ওদের স্বাস্থ্য অনেক খারাপ হয়ে গেছে।’ এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. শাহনূর ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ‘তোফা ভাল আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে। আজই (রবিবার) তাদের দুজনেরই শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানালেন তিনি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবনের কৃষক রাজু মিয়ার এই যমজ শিশু জোড়া লাগানো অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর। তোফা আর তহুরার পিঠের দিক থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত মেরুদ-ের হাড় সংযুক্ত ছিল। মাথা-হাত-পা আলাদা হলেও তাদের মলদ্বার ছিল একটি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’। ৮ দিন বয়সে ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তোফা ও তহুরাকে। চলতি বছরের ১ আগস্ট দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোলে নিয়ে তাদের বাবা রাজু মিয়ার হাতে হাসপাতালের ছাড়পত্র দেন। এ সময় মোহাম্মদ নাসিম তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে মা-বাবার সঙ্গে নানা বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশদহ গ্রামে পৌঁছায় তোফা-তহুরা।
×