ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ৯ অক্টোবর ২০১৭

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মনিরামপুরে এক মাদক ব্যবসায়ী ও তার পিতাকে আটকের পর ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ৪ দারোগার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিরালী মদনপুর গ্রাম থেকে মাদক ব্যবসায়ী মিকাইল হোসেন ও তার পিতা মাহবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তবে তাদের আটকের পর ৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে মাহবুর রহমানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। জানা যায়, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিরালী মদনপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ মিকাইল হোসেন ও তার পিতা মাহবুর রহমানকে আটক করেন মনিরামপুর থানার এসআই ইউনুস আলী গাজী, এএসআই শফিকুল ইসলাম, এএসআই সেলিম হোসেন ও এএসআই জয়ন্ত। মাদক ব্যবসায়ী মিকাইল ও তার পিতাকে আটকের পর হাতকড়া পরিয়ে দর কষাকষির একপর্যায় ওই গ্রামের বটতলা নামক স্থানে এনে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে পিতা মাহবুর রহমানকে ছেড়ে দিয়ে মিকাইল হোসেনকে থানায় আনা হয়। তারপর রাতে মিকাইলকে মারপিট করার একপর্যায়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে দেড় লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করা হয়। পরদিন শনিবার ওই ইউনিয়নের আবদুল হাইয়ের মধ্যস্থতায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় রফা হয়। মিকাইলের পিতা সুদে ও ধার করে ১ লাখ টাকা আবদুল হাইয়ের মাধ্যমে ওই দারোগাদের হাতে তুলে দেন। পরে মাত্র ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে মিকাইলকে চালান দেয়া হয়। মিকাইলের মা সালমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, কয়েকদিন আগে তার ছেলেকে একদল পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ছাড়িয়ে আনা হয়। গত শুক্রবার গভীর রাতে তার ছেলে ও ছেলের পিতাকে মনিরামপুর থানা পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় কাকুতি-মিনতি করে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছেলের পিতাকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। পরে ছেলে মিকাইল হোসেনকে থানায় নিয়ে মারপিট করে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে অনেক টাকা দাবি করে ওই পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায় সুদে ও ধার করে পাশের বাড়ির হাই সাহেবের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা দিলে ছেলেকে চালান দেয় পুলিশ। বাকি আরও ২০ হাজার টাকা ছেলে বাড়ি আসলে দিতে হবে বলে ওই পুলিশদের সঙ্গে কথা হয়। জানতে চাইলে এসআই ইউনুস গাজী ও এএসআই সেলিম আহম্মেদ দাবি করেন, ওরা সব বানিয়ে বলছে। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন বলেন, টাকার বিষয়টি তার জানা নেই। এ প্রসঙ্গে মনিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু নাসের আল জামাল বলেন, উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×