ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তামণির হাতে আরেক দফা অস্ত্রোপচার

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৯ অক্টোবর ২০১৭

মুক্তামণির হাতে আরেক দফা অস্ত্রোপচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামণির হাতে চতুর্থবারের মতো অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় তার অস্ত্রোপচার শেষ হয়। এরপর তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। মুক্তামণির এবারের অস্ত্রোপচারও সফল হয়েছে জানিয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ও মুক্তামণির চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডাঃ সামন্ত লাল সেন জনকণ্ঠকে বলেন, নতুন চামড়া (স্কীন গ্রাফটিং) লাগানোর জন্য মুক্তামণির হাতটি উপযুক্ত করা হয়েছে। এটা তার সুস্থ হওয়ার প্রথম ধাপ। শীঘ্রই তার হাতে নতুন চামড়া লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন, গত ঈদের পর থেকে ৪র্থ দফা অপারেশনের জন্য অবজার্ভ করা হচ্ছিল মুক্তামণিকে। তার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশেষ নিয়মে খাবার দেয়া হচ্ছিল। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হাতে স্কীন গ্রাফটিংয়ের জন্য প্রি-স্টেজ একটি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগের চেয়ে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভাল বিবেচনায় চতুর্থ দফায় তার এ অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। মুক্তামণির চতুর্থবার অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, রবিবার সকাল ৯টার দিকে মুক্তামণির হাতে অপারেশন শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ১০টায়। ডাক্তার জানিয়েছেন শীঘ্রই সে সুস্থ হয়ে উঠবে। সবার দোয়ায় মেয়েটা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। মুক্তামণির সঙ্গে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে আছেন তার বাবা, মা, বোন ও ছোট ভাই। মুক্তামণি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তারা কেউই বাড়িতে যাবেন না বলে জানান মুক্তার বাবা। গত ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তামণির হাতে তৃতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এর আগে গত ২৯ আগস্ট বার্ন ইউনিটে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ২০ শতাংশের মতো শেষ হওয়ার পর জ্বর আসায় অস্ত্রোপচার মুলতবি রাখা হয়। গত ১২ আগস্ট প্রথম দফায় ১১ বছরের শিশু মুক্তামণির ডান হাত অক্ষত রেখেই দু’ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হাত থেকে তিন কেজির মতো বাড়তি মাংস অপসারণ করা হয়েছে। টিউমার অপসারণে ফের কয়েকদফা অস্ত্রোপচার করতে হবে। প্রথমে মুক্তামণি বিরল রোগে আক্রান্ত বলে জানা গেলেও বায়োপসি করার পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন সে রক্তনালীতে টিউমার বা ‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত। পরে ডান হাতটি কেটে ফেলার ঝুঁকি থাকলেও সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয় মেডিক্যাল বোর্ড। তবে মুক্তার হাতটি অক্ষত রেখে সফল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধায়নে বিনামূল্যে মুক্তামণির চিকিৎসা চলছে ঢামেক হাসপাতালে।
×