ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিভাজননীতি ও পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতাই দায়ী

ট্রাম্পের জনসমর্থন তলানিতে

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৮ অক্টোবর ২০১৭

ট্রাম্পের জনসমর্থন তলানিতে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকা- ও ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে সেদেশের মাত্র ২৪ শতাংশ মানুষের বিশ্বাস যে যুক্তরাষ্ট্র সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের হুমকি, ঘূর্ণিঝড়ে ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে পুঞ্জীভূত অভিযোগ এবং শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের পক্ষ অবলম্বন করতে গিয়ে চাতুরীর সঙ্গে দ্ব্যর্থবোধক শব্দ বা ভাষা প্রয়োগ করা। খবর ইয়াহু নিউজের। গত জুন মাসে পরিচালিত এক জরিপ (৩৪ শতাংশ) থেকে এটি ১০ শতাংশ কম। সম্প্রতি জনস্বার্থবিষয়ক এক গবেষণার জন্য এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও নর্ক সেন্টার আয়োজিত এক জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষত রিপাবলিকানদের মধ্যেই পরিচালিত এই জরিপে দেখা যায় যে, তাদের মধ্যে বেশ আশা ভঙ্গের কারণ ঘটেছে। গত জুনে ৬০ শতাংশের মতো রিপাবলিকান বলেছিল যে, দেশ সঠিক নেতৃত্বে, সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তা ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ব্যাপক অর্থে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভবিষ্যত চিত্র নির্মমতায় ভরা। প্রায় ৭০ শতাংশ মার্কিনী জনগোষ্ঠী মনে করে ট্রাম্প স্থির মস্তিষ্কের নেতা নন এবং অধিকাংশ মানুষই মনে করে তার মধ্যে সততার অভাব রয়েছে এবং তিনি শক্তিশালী নেতা নন। এছাড়াও ৬০ শতাংশের বেশি মার্কিনীর বিশ্বাস যে, পররাষ্ট্রনীতি, জাতিগত সম্পর্ক, অভিবাসী সমস্যাসহ অন্য বিষয়গুলো যেভাবে সমাধা করা উচিত ছিল ট্রাম্প তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, এক-তৃতীয়াংশ রিপাবলিকানসহ ৬৭ শতাংশ সাধারণ নাগরিকের মতে ট্রাম্প যেভাবে তার দফতর পরিচালনা করছেন তা সঠিক পথে এগোচ্ছে না। কেন্টাকীর লুইসভেলী থেকে ৪০ বছর বয়স্ক ট্রেসী হুয়েলসম্যান, যিনি নিজেকে একজন মধ্যপন্থী রিপাবলিকান বলে পরিচয় দেন তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যেভাবে বিভেদের বীজ ছড়াচ্ছেনÑ তাতে তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে এ দেশটি বিভক্তির নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করল। এসব ছাড়াও, তার হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন দক্ষ কর্মকর্তা হয় বরখাস্ত হয়েছেন না হয় তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন। সবকিছুর মধ্যেই তার অযোগ্যতা ও অস্থিরতার চিত্রই ফুটে উঠেছে। ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে নব্য নাজি ও শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের পক্ষ নিতে গিয়ে তিনি ‘উভয় পক্ষ’ই দায়ী বলে সত্যকে আড়াল করেছেন এবং ঘরে বাইরে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। এভাবে জাতি হয়েছে দ্বিধাবিভক্ত। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও তার ক্রমাগত ব্যর্থতা সবার কাছে প্রকট হয়ে ধরা পড়েছে। জাতিসংঘের মতো বিশ্ব ফোরামে দাঁড়িয়ে তিনি উত্তর কোরীয় নেতাকে ‘লিটল রকেটম্যান বলে তার দেশ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দেন। ক্ষমতার দম্ভে মানুষ অন্ধ হতে পারে কিন্তু তার এরূপ নগ্ন প্রকাশ বিশ্বকে স্তম্ভিত করেছে। তাই তার নিজ দলেই তার গ্রহণযোগ্যতা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
×