ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্কুলছাত্রীকে দল বেঁধে কয়েক দফা ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৮ অক্টোবর ২০১৭

স্কুলছাত্রীকে দল বেঁধে কয়েক দফা ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ কালীগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১২) স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জোর করে তুলে নিয়ে নগ্ন ছবি ধারণ করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েকদফা দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে তারা। ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে স্থানীয় চার যুবকের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কালীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আব্দুল হালিম জানান, উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১২) গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে ঘোষপাড়া এলাকায় পৌঁছালে সাগর রবি দাসসহ স্থানীয় চার যুবক ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে পার্শ্ববর্তী এক জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মুখ চেপে ধরে ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে এবং সে দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে ধারণকৃত নগ্ন (বিবস্ত্র) ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে যুবকরা দলবেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় পুনরায় ছবি ধারণ করা হয়। ধর্ষকরা এ ঘটনা প্রকাশ করা হলে ছাত্রীটিকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং ধারণ করা ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করার হুমকি দেয়। তাদের হুমকির প্রেক্ষিতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করেনি। এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার সাগর রবিদাস ও তার সহযোগীরা পুনরায় ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ইতোমধ্যে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় ধর্ষকরা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং-৪) দায়ের করেন। মামলায় একই গ্রামের রবি দাসের ছেলে সাগর রবি দাস, সাইজুদ্দিনের ছেলে রাজু , কাসেমের ছেলে শ্যামল, মন্টু রবি দাসের ছেলে সঞ্জীবন রবি দাসকে আসামি করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত (শনিবার সন্ধ্যা) কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি। বাগেরহাটে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ॥ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, ফকিরহাটের টাউন-নওয়াপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ভিকটিমের মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় দরিদ্র মোসলেম শেখের মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে একই এলাকার গহর মল্লিকের ছেলে সাইদুল মল্লিক শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন আসার পর শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরিবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করার পর এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত লম্পট যুবককে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়নি। এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পেয়ে এই অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্ষণকারীকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত সাইদুল মল্লিক এলাকার একজন চিহ্নিত লম্পট। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
×