ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিনহার সঙ্গে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসের দুই কর্মকর্তার সাক্ষাত

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৮ অক্টোবর ২০১৭

সিনহার সঙ্গে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসের দুই কর্মকর্তার সাক্ষাত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অসুস্থতার কারণে এক মাসের ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে শনিবার সাক্ষাত করেছেন সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা। প্রথমে হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অর্থ) ফারজানা ইয়াসমিন এবং পরে আপীল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পূর্ব পাশের গেট দিয়ে একটি গাড়ি প্রবেশ করে। গাড়িতে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারজানা ইয়াসমিন ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই গেটে কর্তব্যরত পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক। পরে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে একটি সাদা গাড়িতে করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পূর্বদিকের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় সেখানে অবস্থান করে বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে বের হন তিনি। হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারজানা ইয়াসমিন প্রধান বিচারপতির বাসা থেকে বের হন বিকেল ৪টা ৫৩ মিনিটে। এর আগে শুক্রবার সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ তার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী বেরিয়ে যাওয়ার পর পর প্রধান বিচারপতির বাসায় যান সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ। এর পর যান সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। উভয়ে দুপুর ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গত মঙ্গলবার থেকে এক মাসের ছুটিতে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে চলছে নানামুখী আলোচনা। সরকার প্রধান বিচারপতিকে চাপ দিয়ে ছুটিতে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদনে অসুস্থতার কথা লেখা থাকার বিষয়টি দেখিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই ছুটির সঙ্গে রায়ের কোন সম্পর্ক নেই, চাপেরও কোন বিষয় নেই। প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ায় আপীল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক হিসেবে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। পরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপ্ন বলা হয়, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আগামী ৩ অক্টোবর হতে ১ নবেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন ছুটি মঞ্জুরের বিষয়ে সানুগ্রহ অনুমোদন প্রদান করেছেন এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতি অসুস্থতাজনিত ছুটি ভোগকালীন সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আপীল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক মাননীয় বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।’
×