ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মহিলা সমিতি মিলনায়তনে পাপেট ফেস্টিভ্যালের সমাপ্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০১৭

মহিলা সমিতি মিলনায়তনে পাপেট ফেস্টিভ্যালের সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাহারি রং আর রূপের পুতুলগুলো ঘুরে বেড়াল মঞ্চে। নানা অভিব্যক্তি ও বার্তা ছড়িয়ে মুগ্ধ করল সোনামনিদের। উপস্থাপিত হলো বিভিন্ন পাপেট চরিত্রের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা। আর পাপেটের এমন মজার প্রদর্শনী দেখতে ছোটদের সঙ্গে বড়রাও ভিড় জমিয়েছিলেন রাজধানীর মহিলা সমিতি মঞ্চে। শনিবার বিকেলে এখানে অনুষ্ঠিত হলো ইনভেন্টরস পাপেট ফেস্টিভ্যাল। শুক্রবার থেকে সূচনা হওয়া দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের সমাপনী দিন ছিল শনিবার। ফ্রেশ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার নিবেদিত এ উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিকশিত শিশু মানেই আলোকিত পৃথিবী’। উৎসবের আয়োজক ইনভেন্টরস পাপেট, একর কম্যুনিকেশনস, সেভেনথ সেন্স এবং কুল এক্সপোজার। উৎসবের সমাপনী দিন বিকেলের আগেই বিপুলসংখ্যক শিশু ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আনন্দমেলায় পরিণত হয় মহিলা সমিতি মিলনায়তন। মুখরিত সেই পরিবেশে উপস্থাপিত হয় ইনভেন্টরস পাপেট এবং জলপুতুল পাপেটের মনোমুগ্ধকর দুটি পরিবেশনা। পরিবেশনা শেষে পাপেট শিল্পীদের প্রদান করা হয় উৎসব স্মারক। আলোকচিত্রে রোহিঙ্গাদের অমানবিক জীবনচিত্র ॥ আলোকচিত্রে ওঠে এসেছে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অমানবিকতা। নাফ নদীর ওপারে রাখাইন রাজ্যে পুড়ছে গ্রামের পর গ্রাম। এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে সেই আগুনের লেলিহান শিখা নিষ্ফলক দৃষ্টিতে দেখছে হতভাগ্য রোহিঙ্গারা। মায়ানমারের সামরিক জান্তাদের হাতে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে ছুটে আসছে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা এক বাবার এক হাতে শেষ সম্বলটুকু একটি বস্তায় আর আরেক হাতে নিজের ছোট্ট সন্তান। এক শিশুর কাঁধে চড়ে আরেক শিশু কাদামাটির পথ পাড়ি দিয়ে ঢুকছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর পরই এক রোহিঙ্গা অন্তঃসত্ত্বা নারী রাস্তার পাশে একটি জুপড়ি ঘরে জন্ম দিয়েছেন তার সন্তানের। খোলা আকাশের নিচে তার ছোট্ট শরীরে এখনও জড়ানো যায়নি একটু কাপড়। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গা মানুষগুলোর এমনি নানা দুর্দশার জীবন্ত প্রমাণ ৪১টি আলোকচিত্রে ধরা পড়েছে। আর সেগুলো নিয়েই শনিবার দিনব্যাপী প্রদর্শনী হয়ে গেল বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায়। ‘মিয়ানমার টু বাংলাদেশ’ শিরোনামের এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে মিডিয়া মিক্স কমিউনিকেশনস। শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এ প্রদর্শনী। এতে স্থান পাওয়া আলোকচিত্রগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের আলোকচিত্র সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের কাছ থেকে যারা উখিয়াসহ নানা জায়গায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করেছেন। আলোকচিত্রীদের মধ্যে রয়েছেন দিপু মালাকার, কাজলা হাজরা, নাসিম সিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোশারফ হোসেন, ইকবাল হোসাইন, এ আর সুমন, নাজমুস সাকিব, ড. আরিফ রেজা, ড. সাজীদ রেজওয়ান, ইমরান ইমু, এসএম আল মাহমুদ প্রমুখ। আয়োজকদের সূত্রে জানানো হয় প্রদর্শনীটি দেশব্যাপী ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। টাইমেক্স গ্রুপের সহযোগিতায় প্রদর্শনীর সামাজিক সহযোগী ছিল স্বপ্নপুরী কল্যাণ সংস্থা ও হিউম্যান রাইটস ফর দ্য চিলড্রেন (এইচআরসি)। তাজুল ইসলামের বয়নচিত্র প্রদর্শনী ট্র্যাপেস্ট্রির মতো শ্রমসাধ্য শিল্পের এক অনন্য শিল্পী তাজুল ইসলাম। কার্পেটের মাঝে তিনি ফুটিয়ে তোলেন নানা নক্সা। বয়নচিত্রের মাধ্যমে মেলে ধরেন উদ্ভিদ কিংবা প্রকৃতির বিচিত্র রূপ। শনিবার থেকে মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের গ্যালারি কসমসে শুরু হলো এই শিল্পীর ট্রাপেস্ট্রি প্রদর্শনী। অতিথি হিসেবে যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান এবং ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলভারো ডি সালাস। শিল্পী তাজুল ইসলাম তাঁর অসংখ্য কাজে অনন্যতার সাক্ষ্যও রেখেছেন। বিশেষত বয়নচিত্রে নক্সা ও রঙের গঠনে। চিরাচরিত শিল্প দ্বারা প্রভাবিত হলেও এই শিল্পী শিল্প সৃজনে ফিগারের পরিবর্তে বেশি মনোযোগী নক্সায়। তিনি উদ্ভিদ এবং জীবের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছেন তাঁর শিল্প কর্মে। এই প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে তাঁর ৩৮টি শিল্পকর্ম। আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দীপনপুরে গান ও কবিতার যুগলবন্দী রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের চেইন বুকশপ ‘দীপনপুর’। একপাশে থরে থরে সাজানো বই, অন্যপাশে পরিপাটি মিলনায়তন। শনিবার বিকেলে এ মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ও কবিতা নিয়ে ভিন্নধর্মী যুগলবন্দী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কবিগুরুর গান ও কবিতায় গোটা আয়োজন হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত ও প্রাণোচ্ছ্বল। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘প্রাঙ্গণেমোর’। ছিল কবিগুর গান, তাঁর কবিতা পাঠ এবং কবিগুরুর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। ভিন্নমাত্রিক এ অনুষ্ঠানের আয়োজক রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা ও শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘বিভাস’। প্রতি মাসের প্রথম শনিবার দীপনপুরে আয়োজিত হবে গান ও কবিতার ভিন্নধর্মী যুগলবন্দীর আসর। সেই আয়োজনের সূচনা হিসেবে গতকাল উদ্বোধন হয় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সজ্জিত প্রথম আয়োজনে আবৃত্তি করেন কণ্ঠশীলন সভাপতি ও বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী গোলাম সারোয়ার। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী তানজীনা তমা। গানের সুরে সুরে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, গবেষক ও লেখক আবুল কাশেম ফজলুল হক, শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ও শিল্পী নাশিদ কামাল। সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই তানজীনা তমা গেয়ে শোনান ‘গানে গানে বন্ধন তব যাক টুটে’ গানটি। এরপর গেয়ে শোনান ‘তোমায় গান শোনাব’ গানটি। ভরাট কণ্ঠে ‘প্রশ্ন’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন গোলাম সারোয়ার। আবৃত্তি শেষে আবারও শুরু হয় তমার কণ্ঠে কবিগুরুর গানের মুগ্ধতা। যশোরে ১৬ দিনের চলচ্চিত্র উৎসব যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হলো ১৬ দিনের চলচ্চিত্র উৎসব। জনকণ্ঠের যশোর প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা দেখানো হয় চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বাইস্কোপ’। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ চলচ্চিত্র উৎসব চলবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত।
×