রূপগঞ্জে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে লাঠিপেটা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৭ অক্টোবর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে সিমেন্টের পাল্লার সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক লাঠিপেটা করে নির্যাতন চালনোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুবক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত নুর উদ্দিন নামে এক অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মঙ্গলখালী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নির্যাতনের শিকার ইকবাল হোসেন মঙ্গলখালী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত নুর উদ্দিন নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার মধ্যম সুন্দরপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে। নুর উদ্দিন মঙ্গলখালী এলাকায় বসবাস করে অটোরিক্সা গ্যারেজ দিয়ে ব্যবসা করেন। নির্যাতনের শিকার ইকবাল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতের যে কোন সময় কে বা কারা নুর উদ্দিনের অটোরিক্সা গ্যারেজ থেকে রিক্সার ব্যাটারি, গ্যাংনিং মেশিন ও বৈদ্যুতিক তার চুরি করে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ইকবাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে নুর উদ্দিন। এরপর চুরির অপবাদ দেয়া হয় ইকবাল হোসেনকে। এক পর্যায়ে মুড়াপাড়া-ভুলতা সড়কের পাশে মঙ্গলখালী এলাকায় একটি ঘরের সিমেন্টের পাল্লার সঙ্গে দড়ি দিয়ে পা ও কোমর বেঁধে ফেলা হয় তাকে। এসময় নুর উদ্দিনসহ তার লোকজন ইকবাল হোসেনকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে নির্যাতন চালায়। বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলেও ইকবালকে ছাড় দেয়া হয়নি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্যাতিত ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত নুর উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর উদ্দিন জানান, ইকবাল হোসেন একজন মাদকসেবী। এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার গ্যারেজে ইকবালই চুরি করেছে, এমন সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেঁধে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশে দিলে আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে যায় অতি সহজে, তাই নিজের হাতেই শাস্তি দেয়া হয়েছে। আমতলীতে মাÑছেলে নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামে নারিকেল চুরির অপবাদে মা জয়গুননেছা (৩৫) ও ছেলে বায়েজিদকে (১০) বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। গুরুতর আহতদের আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে। আহত দরিদ্র জয়গুন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের ইউনুচ গাজীর কিছুদিন আগে গাছের নারিকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ইউনুচ গাজী প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ছেলে বায়েজিদকে সন্দেহ করে। শুক্রবার বিকেলে বায়েজিদ ও তার মা জয়গুননেছা ইউনুচ গাজীর বাড়ীর সামনে দিয়ে লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে ইউনুচ গাজীর স্ত্রী আমেনা বেগম দেখতে পায়। এ সময় আমেনা, ইউনুচ গাজী ও তার ছেলে রাব্বি নারিকেল চুরির অপবাদে বায়েজিদকে মারধর শুরু করে। ছেলেকে রক্ষায় মা জয়গুননেছা এগিয়ে এলে তাকেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বায়েজিদকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বায়েজিদকে উদ্ধার করে। ওই দিন তাদেরকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দরিদ্র জয়গুননেছা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। শনিবার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আহত জয়গুননেছা শরীরে ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন। তার শরীরের কাঁধে, উরু ও বাম পায়ের রানে কালো ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে।