ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চারুকলার বকুলতলায় নৃত্যগীতে শরতবন্দনা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৭ অক্টোবর ২০১৭

চারুকলার বকুলতলায় নৃত্যগীতে শরতবন্দনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যান ও জলজটে আক্রান্ত শহর ঢাকায় শরতের সৌন্দর্য অবলোকনের সুযোগটা সীমিত। স্নিগ্ধ এ ঋতুর প্রভাবে কংক্রিটের নগরে দেখা মেলে না নীল আকাশের। চোখে পড়ে না শ্বেত-শুভ্র কাশফুল। তবে সেই নীলাকাশ আর কাশফুলের দেখা মিলল শুক্রবার ছুটির দিনের সকালে। চারুকলার বকুলতলার নিসর্গঘেরা ক্যানভাসে ধরা দিল মায়াবী শরত ঋতু। গানের সুরে বর্ণময় হলো শারদীয় সকাল। নাচের মুদ্রায় কিংবা কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে আবাহন করা হলো এই ঋতুকে। বিশিষ্টজনদের আলোচনায় উঠে এলো শরতের বন্দনা। জাতিসত্তার আপন শেকড়ের আলিঙ্গনে বরণ করে নেয়া হলো রূপময় এই ঋতুকে। সংস্কৃতিপ্রেমী শহরবাসীর সরব আগমনে মুখরিত হলো উৎসব। তাই বিলম্বিত এ উৎসব উদযাপন দোলা দিয়ে গেল নাগরিকের মননে। সাত সকালে ঘুমের কাতরতা কাটিয়ে অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায়। সেখানে ছিল নবীন-প্রবীণের সমান অংশগ্রহণ। ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্যময় সাদা আর নীল শাড়ি আবৃত তরুণীদের খোঁপায় ছিল বাহারি ফুল। পুরুষরাও উৎসবের আবহ গায়ে মেখে পরেছিলেন পাঞ্জাবি-পায়জামা কিংবা রং-বেরঙয়ের ফতুয়া। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় শরৎ বন্দনার এ আয়োজনটি করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। পূব আকাশে সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পর উৎসবের সূচনা হয়। ভোর পেরিয়ে সকালের প্রথম লগ্নে তখন বকুল পাতার ফাঁক গলে সূর্যালোক ছড়াচ্ছিল শরতের আবহময় মঞ্চে। বেহালার সুরে শুরু হয় ঋতুভিত্তিক বন্দনার পর্ব। আবুল কালামের বেহালার শব্দধ্বনির সঙ্গে মিলে যায় তুলসী সাহার তবলার বোল। এরপর সুর ধরে চলতে থাকে প্রিয় ঋতুকে আবাহনের পালা। পরিবেশিত হয় কখনও একক আবার কখনও সমবেত কণ্ঠের গান। ছিল নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনাও। যন্ত্রসঙ্গীতের পর সূচনাতেই শিশু-কিশোর সংগঠন সুর ও বিহারের শিশু শিল্পীরা পর পর দুই পরিবেশন করে দুইটি গান ‘অমল ধবল পাল লেগেছে’ ও ‘আলোর অমল কমল খানি’। অণিমা রায় গেয়ে শোনান রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘তোমার যা বল তা বল’। আবু বকর সিদ্দিক পরিবেশন করেন ‘আমার হার কালা করলাম রে’, সঞ্জয় কবিরাজ ‘তুমি আমার সকাল বেলার সুর’, ফেরদৌসী কাকলী ‘বেলা বয়ে যায়’, মীরা ম-ল ‘হেলা ফেলা সারা বেলা’, রতœা সরকার ‘আজ শরৎ এ আলোর বাঁশি বাজলো’। এছাড়াও একক কণ্ঠে গান শোনান আশিকুর রহমান, আরিফ রহমান, মাহজাবিন রহমান শাওলী, শ্রাবণী গুহ রায় ও নবনীতা জাইদ চৌধুরী। তাদের কণ্ঠে গীত হয় ‘আলোয় আলোকময় কর হে’, ‘আজ শেফালির গায়ে হলুদ’, ‘শিশিরে শিশিরে শারদ আকাশে ভোরের আগমনী’, ‘এসো শারদ প্রাতের পথিক এসো শিউলি বিছানো পথে’সহ বেশ কিছু গান। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সমস্বর, স্বভূমি লেখক শিল্পীকেন্দ্র, আনন্দন ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। উৎসবের মাঝামাঝি সময়ে ছিল শরৎকথন। এ পর্বে সভ্যতা আর প্রযুক্তির আগ্রাসনে হারাতে বসা গ্রাম বাংলা আর সবুজ-শ্যামলিমার রক্ষায় আরও বেশি উদার ও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শরৎকথনে অংশ নেয়া অতিথিরা। একই সঙ্গে উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশের প্রকৃতি সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান দমনপীড়ন নীতির সমালোচনা করে অসহায় নাগরিকদের পাশে থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন বক্তারা। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের পাশাপাশি শরৎকথনে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সীমাবদ্ধ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মানবতার এক বিশাল বার্তা দিয়েছে। আজকে যুবক, তরুণরা পর্যন্ত প্রকৃতির নানা বৈশিষ্ট্য ও পরিবর্তনের কথা বলতে পারে না। শরত নিয়ে কত কবি কত বন্দনা করে গেছেন। এমন উৎসবের মাধ্যমে তাদের এসব জানানোর প্রয়োজন আছে।’ উৎসবে-পার্বণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ‘মানবিক সংস্কৃতির’ কারণেই রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন রামেন্দু মজুমদার। হায়াৎ মামুদ বলেন, ‘শহরে এসে আমরা কাজের চাপে হোক বা নানা সঙ্কটে হোক, গ্রামকে ভুলে যাই। গ্রামই তো আসল। গ্রামে ফিরে যেতে না পারলেও আমাদের মন যেন সেই গ্রামেই পড়ে থাকে, আজ সকলের হোক এ প্রত্যয়। শরতের আবাহনে পরিবেশিত হয় নানা আঙ্গিকের নৃত্য। ‘আজ ধানের ক্ষেতে রোদ্র ছায়ায়’ গানের সুরে নাচ করে নটরাজ, ‘শরৎ তোমার অরূণ আলোর অঞ্জলি’ গানের তালে নৃত্যজন এবং ‘তুই ক্যানে কাঁদা দিলি সাদা কাপড়ে’ গানের সঙ্গে শরৎবন্দনা করে নৃত্য পরিবেশন করেন নন্দন কলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পীরা। কবি জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন বাকশিল্পী রফিকুল ইসলাম, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতা আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। ৬৪ জেলায় শুরু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের শুরু থেকে শুরু হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে চলবে ১৬ দিনের এ উৎসব। ৪৪ চলচ্চিত্রে সজ্জিত এ উৎসবে রয়েছে পাঁচটি বিভাগ। বিভাগগুলো হলোÑ বাংলাদেশ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) ও নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। বিনা দর্শনীতে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে দর্শনার্থীরা উপভোগ করবেন এসব ছবি। আর ঢাকার বাইরে ছবিগুলো প্রদর্শিত হবে জেলা শিল্পাকলা একাডেমি মিলনায়তনসহ বিভিন্ন মিলনায়তনে। প্রদর্শনীর সময়সূচী প্রতিদিন বেলা ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল ও মোরশেদুল ইসলাম ও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, দেশের বেশিরভাগ সিনেমা হল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত নয়, সে জন্য দেশের সব জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলসমূহ প্রতিমাসে এক সপ্তাহের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য বরাদ্দ দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সে লক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমির একটি হলকে বিশেষায়িত করে তৈরি করা হবে। চলচ্চিত্র ছাড়া সংস্কৃতি পরিপূর্ণ হতে পারে না। সেজন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর দুইটি করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান প্রদান করবে। আগামীতে তথ্যচিত্র তৈরির ক্ষেত্রেও অনুদান প্রদান করা হবে। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় রিয়াজুল রিজু পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়স্কোপ’। আজ শনিবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে প্রদর্শিত হবে তিনটি চলচ্চিত্র ‘দর্পণ বিসর্জন’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ ও ‘রীনা ব্রাউন’। এ উৎসবের অংশ হিসেবে ১১টি চলচ্চিত্র নিয়ে সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র বিভাগে থাকছে প্রতিযোগিতা। এই বিভাগে জুরি কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে ৩টি শাখায় প্রদান করা হবে। নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পাবে ২ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা পাবেন ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি পাবে ৫০ হাজার টাকা। ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। আগামী ২১ অক্টোবর উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। খেলাঘরের শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে ‘মৈত্রীর বন্ধনে শান্তিময় বিশ্ব চাই’ স্লোগানে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় পাঁচ বিভাগে সাড়ে চার শ’ শিশুকিশোর অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় ছিল না নির্দিষ্ট কোন বিষয় কিংবা ধরাবাধা নিয়ম-কানুন। তাই শিশুদের রং-তুলির আঁচড়ে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, আবহমান গ্রাম বাংলার, প্রকৃতির রূপময়তাসহ নানা বিষয়। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও কিরীটি রঞ্জন বিশ^াস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, খেলাঘর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীন জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন। সৃষ্টির পর থেকেই শিশু-কিশোরদের অধিকার আদায় এবং সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনেও ছিল সক্রিয়। খেলাঘরের স্থায়ী ঠিকানার জন্য একখ- জমির দাবির প্রেক্ষিতে মুজিবুল হক বলেন ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপনারা উদ্যোগ নেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা ব্যবস্থা করে দেয়ার।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিম-লীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ। এ সময় মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুল মতিন ভূঁইয়া, অশোকেশ রায়, শাহাবুল ইসলাম বাবু, পলি খালেদসহ অনেকে। প্রতিযোগিতায় কপোতাক্ষ (বিশেষ শিশু) বিভাগে জয়ী হয়েছে ফয়সাল মাহমুদ, মেহেরুন নিসা নীলা ও আবিদ হোসেন। পদ্মা বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে সাঈদ মাহমুদ, আফরিন হাসনাইন, সাফা আল সৈয়দ। মেঘনা বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে রাফিন আহমেদ, সিকদার সমন্বয় ফারদিন ও আফরিদ হোসেন আফ্রিদি। যমুনা বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থান অধিকার করে যথাক্রমে মিমহা বিনতে মনির, সাবিহা ইসলাম মীম ও শামসুর উর রহমান। ছায়ানটে আবৃত্তিসন্ধ্যা ‘কথামানবী’ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো ধ্বনি, ঢাকার দ্বিতীয় আবৃত্তি প্রযোজনা ‘কথামানবী’। মল্লিকা সেনগুপ্তের কাব্যগ্রন্থ ‘কথামানবী’ থেকে প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন শ্রাবণী নাসরিন। ঋগবেদ থেকে একুশ শতক পর্যন্ত নারী যেভাবে পুরুষতন্ত্র দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে প্রযোজনাটি মূলত তারই ধারাভাষ্য। প্রযোজনাটিতে দ্রৌপদী চরিত্রে জাকিয়া নূর মিতু, সুলতানা রিজিয়া চরিত্রে মাহফুজা তানিয়া, শাহবানু চরিত্রে সেলিনা পারভীন, মালতী মুদি চরিত্রে ফাল্গুনী তানিয়া এবং কথামানবীর ভূমিকায় আবৃত্তি করেছেন শ্রাবণী নাসরিন। আবহ সঙ্গীতে ছিলেন সূধা সর্বজয়া ও নির্ঝর অধিকারী। কণ্ঠশীলনের প্রযোজনা ‘কঙ্ক ও লীলা’ কঙ্ক গুরুর আশ্রমে থাকতেন। আশ্রমে থাকা অবস্থায় গুরুর মেয়ে লীলার প্রেমে পড়েন কঙ্ক। কিন্তু সেই প্রেমের বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কার। আশ্রম ত্যাগ করতে হয় কঙ্ককে। মৈমনসিংহ গীতিকার এ রূপক ও প্রণয়মূলক আখ্যান ‘কঙ্ক ও লীলা’। যা আবৃত্তি প্রযোজনা হিসেবে মঞ্চে এনেছে কণ্ঠশীলন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রয়োজনাটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন লিটন বারুরী।
×