ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিক পুত্রকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৭ অক্টোবর ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিক পুত্রকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাত

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ সদরের পুরাতন কাছারী এলাকা থেকে এক সাংবাদিক পুত্র কাজী জান্নাতুল নাঈম প্রভাতকে (১৪) তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে জেলা স্টেডিয়ামে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকাল ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্ররণ করা হয়। প্রভাত দৈনিক সমকালের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি কাজী সাব্বির আহমেদ দিপুর পুত্র। স্থানীয় সূত্র জানায়, কাছারীর সোনালী ব্যাংক এলাকা থেকে মোঃ আশিক (১৫) ও মোঃ ইকরাম (১৬)সহ ৩/৪ জন যুবক কেকে গবর্নমেন্ট ইনস্টিটিউশনের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র প্রভাতকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাঠপাড়া এলাকার জেলা স্টেডিয়ামে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কিডনির পার্শ্ববর্তী স্থানে কুপিয়ে জখম করলে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। প্রভাতের বাবা কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু জানান, আমার সন্তান সকালে কাছারি এলাকার চিত্ত মিষ্টান্ন ভা-ার থেকে নাস্তা করে বাসায় ফেরার পথে কয়েক জন দুর্বৃত্ত তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে স্টেডিয়াম এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এর আগে গত বুধবার শহরের গ্রামীণফোন দোকান ভবনের দ্বিতীয় তালায় প্রভাত ও তার কয়েক বন্ধু মিলে গল্প করছিল। এ সময় মোঃ আশিক ও ইমরানসহ ৩/৪ জন তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এ নিয়ে প্রভাতের সঙ্গে তাদের বাগ্বিত-া হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছি। প্রভাত বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। বরিশালে ধর্ষক গ্রেফতার স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কৌশলে ইয়াবা খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি তাপস শীলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তাপস পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে। শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মামলার অন্যতম আসামি তাপস শীলকে টরকী বন্দরে তার নিজের সেলুন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তাপস শীল টরকী বন্দরে নিজের সেলুন ব্যবসার আড়ালে মাদক বিক্রির সত্যতা স্বীকার করে ধর্ষণ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছেন। এর আগে ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাহাদুরপুর গ্রামের দ্বীজেন জয়ধরের পুত্র দীপক, তার মা পুষ্প জয়ধর ও স্ত্রী কচি জয়ধরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। গত ২৯জুলাই রাতে দীপকের বাহাদুরপুর গ্রামের বাড়িতে তাপস শীলের সঙ্গে ইয়াবা সেবন করতে আসে গৌরনদী থানার গোবর্দ্ধন গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের পুত্র কাওসার ফকির, একই থানার নন্দনপট্টি গ্রামের শফি মৃধার পুত্র সেন্টু মৃধা। ওই রাতে দীপকের স্ত্রী মোবাইল ফোনে ওই স্কুল ছাত্রীকে তার ঘরে ডেকে আনেন। কৌশলে স্কুল ছাত্রীকে ইয়াবা খাইয়ে বেসামাল করার পর কাওসার তাকে ধর্ষণ করে।
×