পাকিস্তান সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, তাদের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সঙ্গে জঙ্গীদের যোগসূত্র আছে। তবে তার মানে এই নয়, তারা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থন করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাত-উদ-দাওয়ার রাজনৈতিক শাখা মিলি মুসলিম লীগকে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাফিজ সাঈদের জামাত-উদ দাওয়ার সমর্থনপুষ্ট মিলি মুসলিম লীগকে কয়েক মাস আগে সেখানের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়নি। এত দিন ধরে এদের কোন রাজনৈতিক দল হিসেবেই স্বীকার করা হতো না। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আইএসএর যোগাযোগ আছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করছে সে সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে আইএসএর গণসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ‘সমর্থন ও সংযোগের মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনি এমন কোন গোয়েন্দা সংস্থার নাম বলতে পারবেন না যাদের কোন সংযোগ নেই। সংযোগ শব্দটি ইতিবাচক অর্থেও ব্যবহৃত হতে পারে এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস তার কথায় কোথাও বলেননি, তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। এ বিষয়ে আমাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে।’ কিন্তু গত মঙ্গলবারে ম্যাটিসের বক্তব্যে জঙ্গীদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের কথাই উঠে এসেছিল। সেদিন ম্যাটিস বলেছিলেন, জঙ্গী গ্রুপগুলোর প্রতি ইসলামাবাদের কথিত সমর্থনের জন্য তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যবস্থা গ্রহণের আগে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে জঙ্গী তৎপরতা দমনে ‘আরও একবার’ পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে ইসলামাবাদে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড সিনেট সশস্ত্র বাহিনী কমিটিতে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন আইএসএর সঙ্গে জঙ্গী দলগুলোর সম্পর্ক আছে। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাওয়াল পি-িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ গফুর বলেন, ভারতের অযথার্থ প্রতিক্রিয়ার দরুন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। আগের যে কোন বছরের তুলনায় এবার সীমান্ত হত্যা অনেক বেড়ে গেছে। চলতি বছর অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায়, ২২২ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।