ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে চান বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ৭ অক্টোবর ২০১৭

রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে চান বাদশাহ সালমান

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ভি. পুতিন বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে দীপ্তোজ্জ্বল ঝাড়বাতির নিচে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানকে। দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে সালমানের এ সফর। দুটি দেশ বিশ্বের কঠিনতম সংঘাতগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে সম্মুখীন হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের। রাশিয়ায় কোন সৌদি বাদশাহর এটাই প্রথম সফর। তার এ সফর বিশ্বের দুই বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুপ্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা যোগাবে। দুটি দেশ অশোধিত তেলের মূল্য স্থিতিশীল করতে, তাদের অর্থনীতিকে সমুন্নত রাখতে এবং সিরিয়ায় যুদ্ধ অবসান প্রচেষ্টার সমন্বয় চালাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাদশাহ সালমান ২০১৫-এ সিংহাসনে আরোহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে তার দেশের ঐতিহাসিক নির্ভরতা কমিয়ে আনতে এবং এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভিন্ন দিকে প্রসারিত করার জন্য যে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন তার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে এ সফর। এ সফর মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাবেরও স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের টেকসই শাসনে সৌদি আরবের মৌন স্বীকৃতির আভাস দিচ্ছে। সিরিয়ায় সৌদি আরব সিরিয়া বিরোধী ভূমিকা পালন করে এসেছে এবং রাশিয়া তা থেকে রক্ষার জন্য দেশটিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে। সৌদি আরবের আরব নিউজের প্রধান সম্পাদক ফয়সাল জে. আব্বাস বলেছেন, আমরা এটা উপেক্ষা করতে পারি না যে, রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটা হয়েছে বিশেষ করে ওবামা মতবাদের কারণে। ওবামা চেয়েছিলেন এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কিছুটা ছেঁটে ফেলতে। সৌদি আরবে কিছু অভ্যন্তরীণ সংস্কারের সূচনার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির অবস্থানে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংস্কারগুলো এখানকার সামাজিকভাবে রক্ষণশীল সমাজকে পাল্টে দেয়ার সক্ষমতা রাখে। বাদশাহ সালমান (৮১) দেশের ধর্মীয় পুলিশের হাত থেকে গ্রেফতারি ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছেন যে, নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মতো আরও কিছু সংস্কার শীঘ্র হবে বলে প্রত্যাশা রয়েছে। সৌদি আরব অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় জুড়ে এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে বিবেচনা করে এসেছে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রশ্নে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে এসেছে ঘনিষ্ঠভাবে।
×