স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নওগাঁর বেশ কয়েকটি সড়ক। সন্ধ্যা নামলেই পথচারীরা বেছে নেন বিকল্প রাস্তা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসে কমপক্ষে ১০টি ছিনতাইয়েরও ঘটনা ঘটছে। অবশ্য এমন ঘটনায় এরই মধ্যে চেকপোস্ট জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পুলিশের। ছিনতাইকারীর কবলে পড়া নওগাঁর মোস্তফা আলী এভাবেই বর্ণনা দিচ্ছিলেন তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। শুধু মোস্তফাই নয়, এমন পরিস্থিতির শিকার জেলার বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ। পথচারীদের তথ্যমতে, এমন ছিনতাই আর মারপিটের ঘটনা ঘটছে কমপক্ষে ৯টি পয়েন্টে। সন্ধ্যা নামলেই ভয়ে বিকল্পরুট বেছে নিচ্ছেন তারা। তাই শীঘ্রই পুলিশী টহলের দাবি এলাকাবাসীর। বিষয়টি স্বীকার করলেও এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি নওগাঁ পুলিশ সুপারের। কার্যকর পুলিশী টহল বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নিরাপদ থাকুক সড়কগুলো-এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
মাগুরায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ পোস্টারে আচ্ছন্ন
সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা ॥ মাগুরা শহরের ভায়নার মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পোস্টার লাগানোর স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। জানা গেছে, জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে শহরের ভায়নার মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে জেলার চার উপজেলা সদর, মহম্মদপুর, শালিখা ও শ্রীপুর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা রয়েছে। এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন ট্রাফিক পুলিশেরা দায়িত্ব পালন করেন। অথচ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। পোস্টার লাগানোর ফলে শহীদদের নামের তালিকা ঢেকে গিয়েছে। এভাবে চলছে দীর্ঘদিন। প্রশাসনের উদাসীনতার কারনে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। অথচ সেদিক কারও কোন দৃষ্টি নেই।
রংপুর সিটি নির্বাচন ঘিরে রাস্তাঘাট ভরে গেছে ব্যানার ফেস্টুনে
ঘনিয়ে আসছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। দলীয় প্রার্থিতার প্রত্যাশায় নগরীর রাস্তাঘাট ভরে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে। শুরু হয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ এবং জনসংযোগ। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও আওয়ামী লীগের রয়েছে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। সামনেই রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এখনও তফসিল ঘোষণা হয়নি কিন্তু রংপুর নগরীর রাস্তাঘাট দেখে মনে হয় নির্বাচন যেন শুরু হয়ে গেছে। পথে পথে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অবৈধ বিলবোর্ড, পোস্টার আর ব্যানার-ফেস্টুনে ভরে গেছে নগরী। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রয়েছে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির একজন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় তাদের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে ধারণা করছেন তারা। তাই ইতোমধ্যে জনসংযোগও শুরু করেছেন তারা। অবৈধ বিলবোর্ড আর ব্যানার-ফেস্টুনে পিছিয়ে নেই বর্তমান মেয়রও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হলেও গতবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হন তিনি। এবার তিনিও চাইছেন দলীয় মনোনয়ন। আর ব্যানার-ফেস্টুন প্রসঙ্গে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী জানালেন, এ বিষয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্টাফ রিপোর্টার