কবিতার যেমন সর্বজনগ্রাহ্য কোন সংজ্ঞা নেই ঠিক তেমনি কবিতার ছন্দ, উপমা, উৎপ্রেক্ষা, অনুপ্রাস, অন্তমিলের পিছু হেঁটেও তার তল খুঁজে পাওয়া যায় না। সারাক্ষণ কবিতা ভাবনার মধ্যেই থাকি। এই ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে হাওয়ার অটোতে ঘুরি, মানুষ দেখি আর ভাবি। ভাবতে ভাবতে অনেক সময় গন্তব্য হারিয়ে ফেলি। তাই কবিতা নিয়ে আলাদা করে আর ভাবতে হয় না। তবে এখন ভেতরে একটা মাঝিহীন বিরহী নৌকা সামান্য বাতাসে হাবুডুবু খাচ্ছে। কবিতা আমার সকল নিমগ্নতার প্রার্থনা, ভালোবাসার সহজিয়া অনুভূতি।
গোধূলির বাহুতে দিশা হারিয়ে
ধূলো যে দিন দৌড়াতে শিখেছে সেদিন থেকেই আমিও করছি
ইস্পাতের বুকে স্বপ্নের চাষ
তুমি ঘুমালে বুনো মৌমাছিরা উম্মাদ হয়ে ছুটে এলে
ঝাঁটা দিয়ে কেন অহর্নিশ করেছি তুমুল ধাওয়া
তখন ভাবোনি কখনো
কতো যে মাতাল সিডর বয়ে গেছে আমার আলপনার উদ্যানে
তাকাওনি তবুও এক পলক ফিরে
লড়ছি যখন প্রবল পলাশীর রণক্ষেত্রে এমন সময় তুমিও
ঠিক ব্যাকুল হয়ে পিরামিডের ভেতর থেকে হাত দুটো বাড়ালে....
গোধূলির বাহুতে দিশা হারিয়ে
ধূলো যে দিন দৌড়াতে শিখেছে সেদিন থেকেই আমিও করছি
ইস্পাতের বুকে স্বপ্নের চাষ
তুমি ঘুমালে বুনো মৌমাছিরা উম্মাদ হয়ে ছুটে এলে
ঝাঁটা দিয়ে কেন অহর্নিশ করেছি তুমুল ধাওয়া
তখন ভাবোনি কখনো
কতো যে মাতাল সিডর বয়ে গেছে আমার আলপনার উদ্যানে
তাকাওনি তবুও এক পলক ফিরে
লড়ছি যখন প্রবল পলাশীর রণক্ষেত্রে এমন সময় তুমিও
ঠিক ব্যাকুল হয়ে পিরামিডের ভেতর থেকে হাত দুটো বাড়ালে....
ছেঁড়া পাতার ডায়েরি
কাঁঠাল গাছের আঠার মলম তৈরি করতে করতে চাপা কণ্ঠে শুনেছি-
শীতের শরীরে একটা ফাইভস্টার স্টুডিও মানের স্বর্গ আছে।
এ সংবাদে, আনন্দে আমার চোখের মেণি বড় হতে হতে
তেইশ শত ফুট চওড়া লোহার দেয়াল ভেঙে আমি পৌঁছে গেছি
ঈশ্বরের পায়ের তলে; আর তার প্রতিটি লোমে চুমুতে চুমুতে বলি,
পরমেশ্বর কুয়াশার কামড়ে আমার প্রতিটি প্রান্তরে বইছে-কোটি কোটি বরফের নদী
আমাকে একটু ঠাঁই দাও তোমার শরতি আশ্রমে
আমার কাকুতি-মিনতির ভেতরে দয়ার সাগর-
একটা ছয় হাজার ফুটি হাঙর হয়ে গেলো
আর সেই স্বর্গের প্রহরীরা হাসতে হাসতে হলো সাহারা মরুভূমি।
কালো গলুইয়ের নর্তকী
কাশবনে নির্জন দুপুরে কাকের কালো শাড়ি খুলে দেখেছি নারীর কোনো জাত নেই, আর টিকটিকির মতো জারজ প্রাণী পৃথিবীতে বিরল। অথচ মাঠে-ময়দানে সর্বত্র এরাই বকে স্বাগত বক্তব্য! ওদের জ্বালাময়ী ভাষণ শুনে বাতাস হয়েছে বধির।
অনেক সুবর্ণ গ্রাম রাজকীয় ডিনার হলো রাক্ষুসী নদীর। প্রভু, এই নিদারুণ সংকটে ওই কালো কাকের মতো আমাদের একটা মা দাও-যে ভয়াবহ অন্ধকার প্লাবনের রাতে শেখাবে ত্যাগ, দ্রোহ ও প্রেমের পরিভাষা।
ভোরের কোমল ছোঁয়ায়
কখনো কখনো বুকের ভেতর শুরু হয় প্রচ- পিকেটিং
কারণ, উত্তরাধিকার সূত্রে দুর্বল সরফরাজও পেয়েছে
বাংলার জাঁকালো সিংহাসন
অথচ আমি জনম কাঙাল বাঁশঝাড়ে পেয়েছি
একটা আদিম গজারি
¯িœগ্ধ বাতাসে পাতারা গা ঘেষে দুলিলে
সে শুধু একটা গর্ত খোঁজে
আমিও অন্ধকারে হারিয়ে গেলে মনে হয়
এই প্রেমালয়ে দেখার মতো কোনো ছায়াও নেই
তবে ওর মেঝেতে লেখা আছে-জীবন এক তিন-তলা ভবন
কিছু রানা প্লাজার মতো ধসে যায়,
কিছু রবার্ট কপারের ক্যামেরায়
অথবা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতসী হয়ে
মানুষের মনে ছবি এঁকে বেড়ায়।
পায়ের তলায় খাল খুঁড়তে গিয়ে
রাতে এখন পারি না ঘুমাতে অন্ধকারের বুকে
লজ্জাবতীরা বড় বড় রামদা শান দেয়
তার স্তনে লুকিয়ে
তাদের ভয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে পায়ের রগগুলো ফুলে
ক্রমশ হচ্ছে বিবাগী মিনার
ঘন নিশ^াসের আগুনে পুড়ছে অনাবৃত বাতাস
ওর ভীষণ কষ্ট দেখে, চোখের গর্তে কাঁঠালের আঠা ঢুকিয়ে
ভোরের দরজা লাথি মেরে ভাঙতেই কে যেন ঢুকরে
উঠলো আলোর পায়ে পরে