ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৬ অক্টোবর ২০১৭

কবিতা

অবচেতনের কাব্য শাহীন মাহমুদ সিম্বলিজম ভেবে খেয়েছি শুভ রাত শুভ সকাল অবচেতনের গল্পে হলাম আজ হাঁটুরে পিকাসো চিনেছি, চিনেছি তাঁগি পারিনি হতে অধিবাস্তব, চেতনাহীন শহুরে। বাস্তবতার সীমানায় পরিভাষার ঝরা পালক কুহু কেকার বিরোধ কি করে মিটাবে চন্দনা পাখি! শূন্যতায় বেঁচে থাকুক অবুঝ মায়ামৃগ। ব্রাহ্মণীর মুখে পিঙ্গলিকার কাহিনী আর কত? দয়া কর এবার তবে ক্ষান্ত হও। ** সময়াস্তরণ বীরেন মুখার্জী মেডিটেশন থেকে আভিজাত্য তুলে ঘুমচোখে হাঁটছি- পথে পথে গিরি সভ্যতার গড়াগড়ি, স্থির কিংবা উড়ন্ত অজস্র আয়নার ভেতর, সুঁচ ও গ্রন্থির ভেতর ভেঙে যাচ্ছে দৈনন্দিন মুখচ্ছবি, অনুভব করছি- মানুষের সন্নিকটে যেতেই বাকপটু হয়ে উঠছে বোধ; ‘আঙুল ঘুরিয়ে গোল’- বিজ্ঞাপনটার কথা ভেবে কেউ কেউ আঙুলে জড়িয়ে নিচ্ছে ঋতুর লাবণ্য- সামনে কংক্রিট অরণ্য- গন্তব্য বিবেচনায় কেউ কেউ পেরিয়েও যাচ্ছে সময়াস্তরণ; আর- তীব্র প্রতিধ্বনির ভেতর গোলাকার হয়ে উঠছি ক্রমশ! এভাবে, বহুদিন, বহুপথ হেঁটে এসে দেখেছি- এ-জীবন আতশবাজির মতো- ফুটছে অপার বর্ণিল গ্রাফিতি এঁকে বিশ্রুত বেদনার তলদেশে! ** নুন মুহাম্মদ ফরিদ হাসান গহীন ভূমি থেকে হাতড়ে আনি বেদনার জল ঘাম ঝরে পা-থেকে মাথা, অবিশ্রান্ত অবিরল অশ্রু শুকায়, অতঃপর কেবল থাকে দেহজ নুন ছায়ার কাছেই রেখে যাই বিষমাখা ছুরি, খুন। আমার কাছে যা ছিল নদী, রংমাখা রোদ্দুর সে দামে কিনেছি জীবন, কিনেছি সমুদ্দুর সব রেখে প্রেম, চুমো, দীঘল জ্যোছনাবাড়ি দিন তো ছিল ফানুসভরা, কি ভীষণ আনাড়ি! অথচ ঘৃণার ছুরি হাতে মুছে নিলে প্রেম, প্রজাপতি ঋণ ভাবিনি, রক্তমাখা ঠোঁটে, চুমো এঁকে গেছি এতটা দিন! সেই থেকে ছায়ার কাছেই রেখে যাই বিষমাখা ছুরি, খুন অতঃপর অশ্রু শুকায়, কেবল পড়ে থাকে দেহজ নুন।
×