বিজ্ঞানীরা বলেন, এই কণা এতটাই অদ্ভুত যে এ সম্পর্কে গবেষণা করা খুব কঠিন। এক বছরে, এক বর্গকিলোমিটার বায়ুমণ্ডলে, পাওয়া যায় মাত্র একটি কণা। তাই এটি সম্পর্কে জানতে হলে বহু এলাকা নিয়ে, বহু বছর ধরে, গবেষণা করতে হবে
বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকাশের বাইরে থেকে এক ধরনের কসমিক রশ্মি আমাদের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে। এই রশ্মি আসলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এবং তীব্র শক্তিধর এক কণিকা, যা প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল প্রায় এক শ’ বছর আগে।
তবে এসব কোথায়, কিভাবে তৈরি হয়েছিল, কোথা থেকে আসছে এবং কিভাবে ঢুকে পড়ছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে- এসব সম্পর্কে কোন ক্লু নেই বিজ্ঞানীদের কাছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, এই কণা এতটাই অদ্ভুত যে এ সম্পর্কে গবেষণা করা খুব কঠিন। এক বছরে, এক বর্গ কিলোমিটার বায়ুমণ্ডলে, পাওয়া যায় মাত্র একটি কণা। তাই এটি সম্পর্কে জানতে হলে বহু এলাকা নিয়ে, বহু বছর ধরে, গবেষণা করতে হবে।
গত দশ বছর ধরেই কিন্তু এই সুপার রশ্মিটি নিয়ে গবেষণা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এসব রশ্মি তৈরি হয়েছে পৃথিবীর গ্যালাক্সির বাইরে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব কণা এত শক্তিধর, আমাদের গ্যালাক্সিকে ধরে রেখেছে যে চৌম্বক ক্ষেত্র, তার কারণে। কিন্তু সেই চৌম্বক ক্ষেত্রটি কোথায় সেটি এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
‘এসব কণা আমাদের গ্যালাক্সিতে তৈরি হয়নি। কারণ যেদিক থেকে এগুলো এসেছে, বা যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব থেকে বোঝা যায় এগুলো বাইরের কোন জায়গা থেকে এসেছে। কম শক্তির কণার সঙ্গেও এই কসমিক রশ্মির কোন মিল নেই। ফলে আমরা ধারণা করছি এসব কণা গ্যালাক্সির বাইরে থেকেই এসেছে।’
এই কসমিক রশ্মি বলে দিচ্ছে মহাকাশের বাইরে, আমাদের কাছ থেকেও বহু বহু দূরে, এ রকম বিরল ও বিস্ময়কর জিনিসের অস্তিত্ব রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব কণার ওপর গবেষণা থেকে, আমরা খুব সামান্য হলেও হয়ত বুঝতে পারব যে আমাদের এই পৃথিবীর গ্যালাক্সির বাইরে, বহু বহু দূরে, কি ঘটে চলেছে।
কারণ এই কণা-রহস্য বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও ব্ল্যাক হোলের মতো আরও এক গভীর রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।
সূত্র : বিবিসি