ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৬ অক্টোবর ২০১৭

ঝলক

দুই কিমি হেঁটেই গেলেন প্রেসিডেন্ট সাধারণ মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু না। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ায়, যেখানে সড়কগুলোতে বিরক্তিকর যানজট সর্বদা লেগেই থাকে। তাই বলে এমন ঘটনা কি রাষ্ট্রপ্রধানের বেলায় ঘটতে পারে? তাই ঘটেছে। রাজধানী জাকার্তার নাগরিকরা বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতোই যানজটে আটকে আছেন। ব্যতিক্রমী হলো, সেই যানজটে আটকা পড়ে রাষ্ট্রপ্রধানকে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনীর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বের হয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। পথে জ্যামে আটকে যায় তার গাড়ি। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে দুই কিলোমিটার হেঁটে অনুষ্ঠানে পৌঁছান তিনি। উইদোদোর নিরাপত্তারক্ষী ইলি দাসিলি জানান, ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর প্রেসিডেন্ট গাড়ি থেকে নেমে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। জাতীয় পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ানও জ্যামে আটকে ছিলেন। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের পর তিনিও গাড়ি থেকে নেমে তার সঙ্গে হাঁটায় যোগ দেন। পরে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে জানানো হয়, উইদোদো এবং জ্যেষ্ঠ সরকারী কর্মকর্তা সিলেগন শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বের হওয়ার পর পথে জ্যামে আটকা পড়েন। রাজধানী জাকার্তা থেকে সিলেগন পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। প্রেসিডেন্টের এই হেঁটে যাওয়ার গল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। একজন টুইট করেন, সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নিতে গিয়ে একজন প্রেসিডেন্টকে দুই ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব! কেন তারা তাকে রাস্তায় বিশেষ সুবিধা বা হেলিকপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়নি! -এএফপি এ্যামাজনকে বোকা বানাল দম্পতি বিশ্ব খ্যাত অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠান এ্যামাজন থেকে ১২ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য অভিনব কায়দায় চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে আমেরিকার এক দম্পতি। তারা যে পণ্যগুলো অর্ডার করেছিল সেগুলো ভাঙ্গা কিংবা নষ্ট ছিল বলে বারবার দাবি করে এই কাজ করেছেন তারা। ইন্ডিয়ানা রাজ্যের বাসিন্দা এরিন জোসেফ ফিন্যান (৩৮) এবং লিয়া জেনেত্তি ফিন্যান (৩৭) দম্পতি প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের অপরাধ স্বীকার করেছেন। এ দম্পতির ৫ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদ- হতে পারে। আগামী ৯ নবেম্বর এ রায় ঘোষণা করা হবে। স্থানীয় সংবাদপত্র বলছে, ফিন্যান দম্পতি অনলাইনে শত শত ভুয়া এ্যাকাউন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে এ্যামাজান থেকে অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের অর্ডার দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী যেমন স্যামসাং স্মার্ট ওয়াচ, গোপ্রো ক্যামেরা, এক্সবক্স ভিডিও গেম কনসোল ইত্যাদি। অর্ডার করা পণ্যগুলো হাতে পেয়ে তারা এ্যামাজনের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগে যোগাযোগ করে জানায় যে পাঠানো গেজেটগুলো ভাঙ্গা বা কাজ করছে না। এ্যামাজানের নীতি অনুযায়ী তারপর ওই পণ্যের পরিবর্তে আরেকটি বিনামূল্যে পাঠিয়ে দেয়। তারপর এই পণ্যগুলো ফিন্যান দম্পতি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে, যিনি আবার এই পণ্যগুলো নিউইয়র্কের এক বেনামী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে। মার্কিন ডাক বিভাগের অনুসন্ধান বিভাগ, ইন্ডিয়ানা রাজ্য পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের যৌথ তদন্তে এই দম্পতির জালিয়াতি ধরা পড়ে। -বিবিসি অনলাইন
×