ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৬ অক্টোবর ২০১৭

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আজ

মিথুন আশরাফ ॥ সবার আশা একটাই, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। তা কী সম্ভব? খুবই সম্ভব। যদি ব্যাটিং ও বোলিংটা সামর্থ্য অনুযায়ী করা যায়। তাহলে ভাল ফল বের করাও সম্ভব। সেই ফলের আশাই এখন করা হচ্ছে। ব্লুমফন্টেইনের ম্যাংগাউং ওভালে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় টেস্টটি শুরু হবে। এ টেস্টের আগে অবশ্য দুর্বল হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আগে থেকেই নেই। আবার ওপেনার তামিম ইকবালও ছিটকে পড়েছেন। এ দুইজনকে ছাড়া বাংলাদেশ দল অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। এরপরও ভাল কিছু করার আশা করা হচ্ছে। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম যেমন বলেছেন, আশা করছি দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। সেই ঘুরে দাঁড়ানো গেলেই হয়। না হলে যে ২০০২ ও ২০০৮ সালের মতো আবারও টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হবে বাংলাদেশকে। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে বাংলাদেশকে অন্তত হারা যাবে না। তাহলেই হয়। কিন্তু তাও কী সম্ভব? সম্ভব। প্রথম টেস্টেই ড্র করতে পারত বাংলাদেশ। পঞ্চমদিনে হাতে ৭ উইকেট ছিল। কিন্তু তাসের ঘরের তো মুহূর্তেই তা ভেঙ্গে যায়। তাই ৩৩৩ রানের হারও হয় নিয়তি। কোনভাবে ৭ উইকেট যদি টিকিয়ে রাখা যেত, তাহলেই ম্যাচটি ড্র হয়ে যেত। ব্লুমফন্টেইন টেস্টে এখন উইকেট ধরে রাখতে পারলেই হলো। পোচেফস্ট্রুম টেস্টের তৃতীয়দিনের শেষ বেলা আলো স্বল্পতায় খেলা হয়নি। চতুর্থদিনেও বৃষ্টি হানা দিয়েছে। তাতেই বাংলাদেশের সামনে ম্যাচ ড্র করার আশা জাগে। কিন্তু ৯০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেলে সেই সম্ভাবনা উড়ে গিয়ে বড় হারই হয়। এবার বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা ভাল করতে পারলেই হয়। বৃষ্টির উৎপাতও তাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে। বৃষ্টি আছে। টেস্টের পাঁচদিন জুড়ে না হলেও প্রথম চারদিন জুড়ে বৃষ্টির উৎপাত দেখা যেতে পারে। বিভিন্ন আবহাওয়া ওয়েবসাইট থেকে সেই আভাসই মিলছে। তাই যদি হয় তাহলে ব্যাটিংটা ভাল করা গেলে ড্র’ও সম্ভব। আর ড্র হলেই তো প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোন টেস্ট না হারার সুখস্মৃতি পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ না হওয়ার স্মৃতিও যুক্ত হবে। কিন্তু ব্লুমফন্টেইনে খেলা বলেই ভয়। এ স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনই টেস্টে হারেনি। শতভাগ জয় রয়েছে। তার মানে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে আবারও পড়তে হচ্ছে। আবার দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথাই বলেছেন। যদিও তিনি শেষ পর্যন্ত নিজের চাহিদামতো পেস ও বাউন্সি উইকেট পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে উইকেট যে পেস না হলেও বাউন্সি হবে তা নিশ্চিত। আর তা যদি হয় তাহলেই বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এই পরিস্থিতি থেকে এখন নিজেদের সামলে নিয়ে ভাল ব্যাটিং করতে পারলেই হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার যে ব্যাটিং লাইনআপ তাতে বোলিং দিয়ে বিশেষ কিছু আদায় করে নেয়া সম্ভব নয়। তাই যা করার বাংলাদেশের ব্যাটিং দিয়েই করতে হবে। সেখানেও আবার বিপত্তি। সাকিব, তামিম না থাকায় ব্যাটিং লাইনআপ এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। আবার বাউন্সি উইকেটে রাবাদা, ওলিভিয়েরদের বোলিং তো গোলার মতো যায়। যে বোলিংগুলো সামলানো গেলেও আবার স্পিন আতঙ্ক মহারাজ আছেন। তাই বিপদেই আছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট হেরে লজ্জাজনকভাবে দ্রুত অলআউট হয়ে তা থেকে এখন ব্লুমফন্টেইন টেস্টে নিজেদের মেলে ধরতে চাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। সেই আশা নিয়েই আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
×