ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইনী পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৬ অক্টোবর ২০১৭

আইনী পরামর্শ

প্রশ্ন : আমার দাদা ৫ ছেলে ৫ মেয়ে ১ স্ত্রী রেখে মারা যান ১৯৪৭ সালে। তার নামে ব্রিটিশ জরিপে প্রায় ৪০.০০ একর সম্পত্তি রায়ত মালিক হিসেবে জবপড়ৎফ ছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে জরিপে ৫ ছেলে ৫ মেয়ে ও তার স্ত্রীর নামে যথাযথভাবে জবপড়ৎফ হয়। এখন তার প্রথম দুই ছেলে তার প্রাপ্য নিজ নিজ মাহাম/ অংশ জবমরংঃবৎবফ ফবধফ এর মাধ্যমে বিক্রি করে নিঃস্ব হন। তথাপি তারা অন্য অংশীদারদের প্রাপ্য অংশের জমিজমা দখলে রাখে। নানা অজুহাতে জমির দখল পরিত্যাগ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এর পরবর্তীকালে বাংলাদেশ পিরিয়ডে জরিপ আরম্ভ হয়। এবং প্রথম দুই বড় ভাই আবার নতুন করে অসাধু উপায়ে বিভিন্ন দাগে বিভিন্ন খতিয়ানে তাদের নামে বেশকিছু জমিজমা জবপড়ৎফ করিয়ে নেয়। অপরাপর অংশীদারগণ অল্প শিক্ষিত হওয়ায় তারা তাদের দুই বড় ভাইয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রায় প্রত্যেকটি খতিয়ানে তাদের নাম থাকলেও ছোট ভাই-বোনদের নামে প্রাপ্য অংশের অর্ধেকেরও কম জবপড়ৎফ হয়। বড় ভাইদের নিকট জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন যে, তোমাদের নাম তো সব খতিয়ানেই আছে। সুতরাং বাংলাদেশ জরিপের সময় বড় দুই ভাই নিঃস্বত্ববান হওয়া সত্ত্বেও তাদের আয়ে ছোট-ভাইবোনদের চেয়েও বেশি পরিমাণ জমি জবপড়ৎফ হয়। ফলশ্রুতিতে ওই দুই ভাই তাদের নামে বাংলাদেশ জরিপের জবপড়ৎফ দেখিয়ে ঝঁন-ৎবমরংঃৎু ড়ভভরপব তাদের নামে ভুল জবপড়ৎফ হওয়া জমি (যার প্রকৃত মালিক ছোটরা) জবমরংঃবৎবফ ফবধফ দ্বারা বিক্রি করে। ক্রেতাগণ ওই জবমরংঃবৎবফ ফবধফ এর অন্তবলে স্ব-স্ব নামে ভূমি অফিসে নামজারি সম্পাদন করে। এখন আমি ৫ম ভ্রাতার ওয়ারিশ। আমি আমার প্রাপ্য অংশের .৪৬ ও ৬৬ একরের স্থলে মাত্র .২০ জমির রেকর্ডীয় মালিক। যা আমার ভোগ দখলে আছে। ১৩ বছর আগে আমাদের টেকনাফে দিয়ারা জরিপ নামে একটি ঝঁৎাবু হয়। ওই জরিপ অনুসারে গত বছর গেজেট আকারে তা ঋরহধষ হয়ে প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে আমার নামে মাত্র .০৫ শতক জমি জবপড়ৎফ হয়েছে। বাকি .১৫ শতক জমি আমার বড় ভাইয়ের নামে জবপড়ৎফব এবং তিনি সেই অনুসারে খাজনা দিচ্ছেন। আমি হতভম্ভ। তিনি এখন যে কোন সময় আমার মালিকানার ওই .১৫ শতক সম্পত্তি যা তার নামে জবপড়ৎফ হয়েছে তাও বিক্রি করে দিতে পারেন। আমি উপায়হীন। কোন্ভাবে কোন্ পথে সঠিক প্রতিকার পাব দয়া করে জানাবেন। এক একজন অফাড়পধঃব এক এক রকম বলছেন। আবদুল মোতালেব টেকনাফ উত্তর ঃ আপনার অবস্থা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি মামলা দায়েরের পূর্বে বিক্রি না হয়ে থাকে তবে আপনি ২ প্রকারের মামলা করতে পারেন। ১। আপনাদের সকলের মধ্যে বন্টননামা দলিল না থাকলে বন্টনের/বাটোয়ারার মামলাই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং এই মামলাতেও বিক্রির নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দিতে পারবেন। ২। আপনার জেলায় জরিপ ঞৎরনঁহধষ গঠিত হয়ে থাকলে জরিপ সংশোধনের মামলাও করতে পারেন। প্রথমটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
×