ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সব কুর্দীই স্বাধীনতার পক্ষে তবে গণভোটের রায়ে খুশি নয়

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৬ অক্টোবর ২০১৭

সব কুর্দীই স্বাধীনতার পক্ষে তবে গণভোটের রায়ে খুশি নয়

কুর্দীস্তান রিজিওনাল গবর্নমেন্ট (কেআরজি) ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার, প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক ও ইরানের বিরোধিতা সত্ত্বেও ২৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের স্বাধীনতার দাবি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। যদিও কুর্দী নেতারা দাবি করেছেন, তারা আগামীদিনে এলাকাটিকে শান্ত রাখতে পারবেন যদি তারা বাগদাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকেন। ফরেন পলিসি। শিয়া মিলিশিয়াদের সঙ্গে ও কুর্দী পেশমেরগা বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় লড়াই অব্যাহত রেখেছে। যা বাগদাদ ও প্রতিবেশী কুর্দীদের জন্য একটি হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কুর্দীরা দাবি করেন, কিরকুক প্রদেশটি ঐতিহাসিকভাবে কুর্দীদের। শহরটিতে তাদের স্বার্থ রয়েছে মাটির নিচে তেলের ক্ষেত্রগুলোর ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে। যা স্বাধীন কুর্দী রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে কিরকুকে প্রতিদিন দুই লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। তুর্কমেনিয়া শহরের জনসংখ্যার সঙ্গে কুর্দীদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে ঐতিহাসিকরা দাবি করেন। তবে কিরকুক শহরকে আরবরা ইরাকের অংশ বলে দাবি করে। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সময়ে কিরকুক শহরে অনেক ইরাকীকে পুনর্বাসন করা হয়। তেল-সমৃদ্ধ এলাকাটি থেকে হাজার হাজার কুর্দী বাস্তুচ্যুত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে অভিযান চালানোর পর নতুন সংবিধানে বিতর্কিত এলাকাগুলোর শাসনব্যবস্থার প্রশ্নটি সমাধান করার জন্য একটি পথ খোঁজার চেষ্টা করা হয়। যার জনসংখ্যা বৈদেশিক মুদ্রার দ্বারা প্রভাবিত। সংবিধানের ১৪০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আরব ও কুর্দীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে ‘স্বাভাবিককরণ’ করা হবে। এজন্য একটি গণভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যতে অবশিষ্ট লোকজন কুর্দীস্তান প্রদেশে অথবা ফেডারেল ইরাকে থাকবেন কিনা। যে গণভোট আজও অনুষ্ঠিত হয়নি। কিরকুরে জনসংখ্যার কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। জনসংখ্যা গণনা করা রাজনৈতিকভাবে খুব নিখুঁত হয়। ২০০৩ সাল থেকে বেশ কয়েকবার কুর্দীরা এলাকাটি ছেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিরকুকে আবার তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণভোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে শহরটির আরব ও তুর্কমেনিয়ার লোকজন মনে করে, এর ফলে ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুর্দী প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি ও গবর্নর করিম। তাদের মতে, কিরকুকের স্বাধীনতা সংবিধানের ১৪০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হবে। তুর্কমেনিয়ান ও আরব লোকরা নেতারা সতর্ক করেছেন এই বলে যে, গণভোটের ফলে সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য তারা গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইরাকী তুর্কমেন ফ্রন্টের নেতা হাসান তুরান বলেন, যদি আমরা কোন সমঝোতা ছাড়াই গণভোটে অংশ নেই তবে সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে।
×