ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পেসারদের ওপরই বেশি আস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার

ব্লুমফন্টেইনে প্রোটিয়াদের ভিন্ন বোলিং আক্রমণ

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৬ অক্টোবর ২০১৭

ব্লুমফন্টেইনে প্রোটিয়াদের ভিন্ন বোলিং আক্রমণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সফরকারী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘোষিত দলে অন্যতম পেসস্তম্ভ ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডারকে রাখতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই দু’জনকে ছাড়াই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ মরনে মরকেল ও তরুণ কাগিসো রাবাদা। সঙ্গে ছিলেন আরেক তরুণ ডুয়ান অলিভিয়ের। এই বোলিং সমন্বয় নিয়ে খুব সহজেই বাংলাদেশ দলকে নাস্তানাবুদ করেছে প্রোটিয়ারা প্রথম টেস্টে। এবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এই সমন্বয় থাকছে না। ইনজুরির কারণে সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন মরকেল। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া ব্লুমফন্টেইন টেস্টে রাবাদা, অলিভিয়েরের সঙ্গে আছেন কম টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা ওয়েন পারনেল, আনকোরা মুখ ডেন প্যাটারসন এবং আনদিলে ফেলুহকোয়াও। এদের মধ্যে থেকেই পেস বোলিং আক্রমণের সমন্বয় গড়তে হবে প্রোটিয়াদের। টেস্ট সিরিজ শুরুর বেশ আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরোয়া টেস্ট সিরিজে ফিরতে পারবেন না সবেমাত্র ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা স্টেইন। তাছাড়া ইনজুরির কারণে ফিল্যান্ডারও খেলতে পারবেন না। এই দু’জনকে ছাড়াই টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্টেইন-ফিল্যান্ডারকে ছাড়া প্রোটিয়া বোলিং আক্রমণ ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে সেটারই যেন পরীক্ষা এখন প্রোটিয়াদের। সেই পরীক্ষার প্রথমটিতে বেশ ভালভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। স্টেইন-ফিল্যান্ডারের পাশাপাশি নিয়মিতভাবেই অবশ্য মরকেল খেলেছেন। তাই প্রথম টেস্টে তেমন বড় কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি প্রোটিয়া শিবিরকে। আবার শুধু স্টেইন যখন ছিলেন না সে সময় ফিল্যান্ডার-মরকেলের সঙ্গে তরুণ রাবাদা নিজেকে প্রমাণ করেছেন ভালভাবেই। ইতোমধ্যে ২২ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ব্লুমফন্টেইন টেস্টে রাবাদাই পেস বোলিং বিভাগে সেদিক থেকে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। কারণ পারনেল দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকলেও তিনি যাওয়া-আসার মধ্যে থাকেন স্বল্প পরিসরের ক্রিকেটেই। টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে তার মাত্র ৫টি। এ বছর জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন এ ২৮ বছর বয়সী পেসার। অলিভিয়ের খেলেছেন মাত্র ৯ টেস্ট, ফেহলুকোয়াও গত টেস্ট খেললেও অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন প্যাটারসন। পোচেফস্ট্রুমে হওয়া প্রথম টেস্টে তিন মূল পেসার মরকেল, রাবাদা ও অলিভিয়েরের সঙ্গে ছিলে ফেহলুকোয়াও। তারা দুই ইনিংসে নিজেদের গতি দিয়ে বেশ যন্ত্রণা দিয়েছেন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের। তুলে নিয়েছেন ১১ উইকেট। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই যেভাবে মরকেল জ্বলে উঠেছিলেন তাতে করে ঘোর বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংসের ১১তম ওভারেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়া মরকেল আর ফিরতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টেও থাকছেন না। তবে এর আগেই এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে যে ধাক্কা দিয়েছিলেন পরদিন রাবাদা টানা ৩ উইকেট তুলে নিয়ে আরও বিপর্যস্ত করেন সফরকারীদের। ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বনি¤œ মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অথচ সিরিজ শুরুর আগে স্টেইন-ফিল্যান্ডার না থাকায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বলেছিলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ তাদের অনুপস্থিতিতে ভাল কিছু করার।’ কিন্তু প্রোটিয়াদের রিজার্ভ বেঞ্চের পেসাররাও যে ভয়ানক নিজেদের মাঠে পেসবান্ধব উইকেটে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই দ্বিতীয় টেস্টে নতুন পেস বোলিং সমন্বয় নিয়েও তেমন দুঃশ্চিন্তা নেই প্রোটিয়া শিবিরে। তবে রাবাদা, অলিভিয়ের ও ফেহলুকোয়াওয়ের সঙ্গে আরেকজন কে থাকবেন সেটা ম্যাচের দিনই বোঝা যাবে।
×