ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কারে ধীরগতি

জামালপুরে বন্যায় ক্ষতি সোয়া পাঁচ শ’ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৬ অক্টোবর ২০১৭

জামালপুরে বন্যায় ক্ষতি সোয়া পাঁচ শ’ কোটি টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৫ অক্টোবর ॥ জেলায় দুই দফা বন্যায় সড়ক, সেতু-কালভার্ট ও বাড়ি-ঘরসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতবিক্ষত এসব সড়ক, সেতু-কালভার্ট সংস্কারে গতি না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে লাখো মানুষ। তবে জেলা প্রশাসক বলেছেন, দুর্ভোগ লাঘবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসহ কাঠামো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বন্যাপরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখা গেছে, এবারের বন্যায় প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক, ৪৬টি সেতু-কালভার্ট, প্রায় ১ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক ও কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ-মন্দির এবং ৩৫ হাজার ৫০০ আধাপাকা ও কাঁচা বাড়ি-ঘরসহ সোয়া ৫০০ কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ জনপদের। এসব সড়কের মধ্যে ইসলামপুর-উলিয়া হয়ে মেলান্দহের মাহমুদপুর সড়কটির অবস্থা খুবই করুণ। উপজেলা চিনাডুলি, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়ন ছাড়া এই সড়ক দিয়ে মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর হয়ে মেলান্দহ ও উপজেলা জেলা সদরের সঙ্গে লাখো মানুষের একমাত্র সড়ক যোগাযোগ পথ। উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের বামনা, পশ্চিম বামনাসহ কয়েকটি গ্রাম, সাপধরী ইউনিয়নের সাপধরী গ্রাম ও পার্থশী ইউনিয়নের মুরাদাবাদ গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবারের ঘর-বাড়ি বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এখন পর্যন্ত শতকরা ৮০ ভাগ পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। অনেক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কোন রকমে জীবনযাপন করছে। স্থানীয়রা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সামান্য বালি ফেলে যাতায়াতের উপযোগী করার চেষ্টা করলেও সেসব সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়নি। হেঁটেই মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মালামাল আনা-নেয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসহ সব অবকাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত কাজ করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×