ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৯ অক্টোবর পঞ্চাশতম মৃত্যুবার্ষিকী

বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল চে হত্যাকান্ডের যে ছবি

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৫ অক্টোবর ২০১৭

বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল চে হত্যাকান্ডের যে ছবি

কিংবদন্তি বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারার পঞ্চাশতম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ৯ অক্টোবর। অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেলেও তার জনপ্রিয়তা এক বিন্দু কমেনি বরং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য তার নিঃস্বার্থ প্রয়াস ও আত্মোৎসর্গেও কথা শুনে এখনও সবাই অভিভূত হয়। চে গুয়েভারা ব্যক্তি জীবনে একজন চিকিৎসক হয়েও বিপ্লবী ভাবধারায় উজ্জীবিত হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে কিউবাকে সাম্রাজ্যবাদীদের কবল মুক্ত করেন। ফিদেল ক্যাস্ট্রোর বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় ভাগ বসাতে চাননি। ক্যাস্ট্রো তার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ আসন দিলেও তিনি তা অবহেলায় ত্যাগ করে বিশ্বের মেহনতি মানুষের জন্য বিপ্লবের কাঁধে তুলে নেন। তার লক্ষ্য ছিল কিউবার মতো ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশেও সাম্রাজ্যবাদীদের হটিয়ে সমাজতন্ত্র কায়েম করে বিশ্বের ভুখানাঙ্গা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা। কিন্তু সময়টা ছিল তার প্রতিকূলেÑ তার স্বপ্ন পূরণের পথে পাহাড় সমান বাধা হয়ে দাঁড়ায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। বিশ্ব তখন দু’ভাগে বিভক্ত একটি পুঁজিবাদী বিশ্ব ও অপরটি সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রভাবিত কমিউনিস্ট বিশ্ব। পরে এই জোটে চীনও যোগ দেয়। উভয় ব্লকের মধ্যে ‘কোল্ড ওয়ার’-বা স্নায়ুযুদ্ধের উত্তাপ ও উৎকণ্ঠা সব সময়ই বিরাজ করত। যেমন এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র দেশগুলোকে সাম্যবাদের পতাকাতলে আনার চেষ্টায় রত ছিল তেমনি মুক্ত বিশ্বের মোড়ল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার সিআইএসহ সমগ্র প্রশাসন যন্ত্র দিয়ে দেশে-বিদেশে সমাজতন্ত্রের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার চেষ্টায় সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্য নিয়োজিত করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দেশে সেনা অভ্যুত্থান, প্যাট্রিক লুমুম্বাসহ অনেক নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, গুম, খুন ও অপহরণ তখন অনেকটা গা সওয়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোরীয় উপদ্বীপের যুদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী ভিয়েতনাম যুদ্ধের মূল কারণ ছিল একই। বিপ্লবী চে গুয়েভারার মৃত্যু বা হত্যাকান্ড ছিল তৎকালীন কমিউনিস্ট নিধন কর্মসূচীর ধারাবাহিকতার ফসল। চে তখন বলিভিয়াতে বিপ্লবী তৎপরতায় ব্যস্ত ছিলেন। -এএফপি
×