স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোথায় আফগানিস্তান অনুর্ধ-১৯ দলকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল। সেখানে এখন সিরিজ হারের শঙ্কাতেই পড়ে গেছে। আর লজ্জা তো একের পর এক ম্যাচে মিলছেই। বুধবার চতুর্থ ওয়ানডেতেও যেমন ৮৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ যুবারা। সেই সঙ্গে ৪৫ রানে হারও হলো। সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ। এখন পঞ্চম ওয়ানডেতে যদি বাংলাদেশ না জিততে পারে সিরিজ হেরে যাবে। প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে হেরেছিল। চতুর্থ ওয়ানডেতেও একই দশা। দারুণ লড়াই করেছিলেন নবীন অলরাউন্ডার নাঈম হাসান। প্রথমে বল হাতে ৫টি উইকেট তুলে নিলেন। আফগানিস্তান অনুর্ধ-১৯ দলকে ১৩৩ রানেই গুটিয়ে দিতে সাহায্য করলেন। পরে ব্যাট হাতেও ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। নাঈম উইকেটে না থাকতে পারলে হয়তো লজ্জার নতুন রেকর্ডই গড়তো যুবারা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শোচনীয় পরাজয়বরণ করতে হলো স্বাগতিক যুবা দলটিকে। অখ্যাত বোলার মুজিব জাদরানের বোলিং তোপে উড়েই গেল তারা। ৪৫ রানের লজ্জার হারে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো সাইফ হাসানের দল। আফগানদের দেয়া ১৩৪ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। মুজিবের আগ্রাসী বোলিংয়ে মাত্র ১১ রানেই প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। দলের সেরা ৩ ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি। অধিনায়ক সাইফ, তার ডেপুটি আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং তৌহিদ হৃদয় আউট হয়েছেন ০ রানে। সপ্তম উইকেটে স্বাগতিকদের মান রক্ষা করেন মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া। সঙ্গী হিসেবে পান নাঈম হাসানকে। দলকে জয়ের স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন। ৭৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু তা কেবল বড় লজ্জা থেকে রক্ষা করতে পেরেছে। নাঈম আউট হওয়ার পর আবার তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়েছে ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ চার উইকেট হারায় তারা মাত্র ২ রানের ব্যবধানে। ৩০.৩ ওভারে ৮৮ রানে গুটিয়ে গেলে ৪৫ রানের হারের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: