ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনসন-টু হতে চান স্টার্ক

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৫ অক্টোবর ২০১৭

জনসন-টু হতে চান স্টার্ক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিচেল জনসন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সর্বশেষ পেস বোলিং সুপারস্টার। বিশেষ করে টেস্টে। ২০১৫ সালে হঠাৎই অবসরে যাওয়া সাবেক গতি তারকার পারফর্মেন্সের ওপর ভর করে অতীতে অস্ট্রেলিয়া এ্যাশেজ সিরিজে সাফল্য পেয়েছে। আগামী মাসে হতে যাওয়া কুলিন ইংলিশদের সঙ্গে আরও একটি ঐতিহ্যের লড়াইয়ে এবার ‘জনসন-টু’ হতে চান মিচেল স্টার্ক। ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন দলের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। স্টার্ক বলেন, ‘আমাদের পেস আক্রমণ সবসময়ই দুর্দান্ত। এ্যাশেজ ও টেস্ট নিয়ে কথা বললে গ্রেট জনসনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে। এবার আমি তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাই। ঘরের মাটিতে দেশকে ঐতিহ্যের এ সিরিজে সাফল্য এনে দিতে প্রস্তুত হচ্ছিল।’ ২৩ নবেম্বর ব্রিসবেন টেস্ট দিয়ে শুরু পাঁচ ম্যাচের আলোচিত এ সিরিজ। পরের চার টেস্ট যথাক্রমে এ্যাডিলেড, পার্থ, মেলবোর্ন ও সিডনিতে। ২০১৩-১৪ মৌসুমের এ্যাশেজে জনসন তার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপ। ইংলিশদের ধবলধোলাই করে এ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছিল অসিরা। মিচেল স্টার্ক বলছেন, এবারের এ্যাশেজেও অস্ট্রেলীয় পেসারদের সামলাতে হিমশিম খাবেন জো রুট-এ্যালিস্টার কুকরা। ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকমাস ধরেই মাঠের বাইরে স্টার্ক। তবে এ্যাশেজের আগেই সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন এমনটাই আশা করছেন সবাই। স্টার্ক মনে করেন, দলের বর্তমান পেস বোলাররা মাঠে গতির ঝড় তুলবেন, ‘আমাদের দুর্দান্ত একটা বোলিং লাইনআপ আছে। প্যাট কামিন্স ও জস হ্যাজলউডের মতো বোলাররা থাকবে। কামিন্স গতির ঝড় তুলবে, হ্যাজলউড একই লাইন লেন্থে বল করে যাবে। তাদের সাহায্য করার জন্য বার্ড ও কোল্টার নাইলও আছে। চার বছর আগে যেভাবে জনসন তার উইকেট নিয়েছিল, এবারও সে রকম কিছুই হবে। দলের জয়ে পেসাররাই বড় ভূমিকা রাখবে।’ তবে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং একটা ধাক্কা খেয়েছে এ্যাশেজের আগে, চোটের জন্য খেলা হচ্ছে না জেমস প্যাটিনসনের। রুট-কুক ছাড়া টপঅর্ডারের বাকিদের অনভিজ্ঞতা ভালই ভোগাবে ইংল্যান্ডকে, মনে করছেন স্টার্ক, ‘রুট ও কুক অনেকদিন ধরেই খেলছে, তাদের অভিজ্ঞতাও অনেক। ব্যাটিংয়ে তারাই দলের মূল ভরসা। তাদের দু’জনকে দ্রুত ফেরাতে পারলেই আমরা ভাল কিছু করতে পারব।’ নিষেধাজ্ঞার কারণে বেন স্টোকসের অস্ট্রেলিয়া সফর অনেকটাই অনিশ্চিত। তবে স্টোকসকে ছাড়াও ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইটা সমানে সমান হবে বলেই মানছেন স্টার্ক, ‘সে দলের ভেতর একটা ভারসাম্য আনে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে স্টোকস না থাকলেই ইংল্যান্ড দুর্বল। তাদের দলে অনেকেই আছে যাদের নিয়ে ভাবতে হবে।’ এ্যাশেজে ফেরার লক্ষ্যে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জেএলটি ওয়ানডে কাপে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্টার্ক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
×