ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে সেতু মেরামত হয়নি ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৫ অক্টোবর ২০১৭

দিনাজপুরে সেতু মেরামত হয়নি ॥ ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর ॥ চিরিরবন্দর উপজেলার ভেলামতি সেতুর এক পাশের মাটি ধসে যাওয়ার প্রায় দুই মাস পরও তা মেরামত হয়নি। যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কারণে ৭ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ১৩ আগস্ট বন্যার সময় উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের ভেলামতি নদীতে নির্মিত সুইস গেটটি বন্ধ থাকায়, নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দক্ষিণ পাশটি সম্পূর্ণ্যভাবে ধসে যায়। এর ফলে নদীর ওপারের পুনট্টি, তুলশিপুর, কারেঙ্গাতলি, মথুরাপুর, শ্যামনগর, গমিরা, গুচ্ছগ্রামসহ ৭ গ্রামের লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে লোকজন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে কামাল জানান, নদীর পানির স্রোতে সেতুটি একটি অংশ সম্পূর্ণ ধসে গিয়ে লোকজনের চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের টাকা না থাকায় সংস্কার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম রব্বানী জানান, ওই রাস্তাটিসহ ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু সংস্কার করতে ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। আপাতত ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ওইস্থানে বাঁশের সাকো নির্মাণ করে জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কালকিনিতে ৭৪ বছরেও মেলেনি বয়স্ক ভাতা নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর, ৪ অক্টোবর ॥ এশেদালী বেপারি নামের এক বৃদ্ধ ৭৪ বছর বয়স হলেও মেলেনি বযস্ক ভাতার কার্ড। এই বয়স্ক ভাতার কার্ড না পেয়ে মানুষের দ্বাওে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধ এশেদালী। জানা গেছে, পৌর এলাকার লক্ষীপুর-পখিরা গ্রামের এশেদালী এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে বয়স ৭৪। বারোমাসই তার অসুখ লেগে থাকে। ওষুধের টাকা নেই ঘরে তাই বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। তার সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলে। তবে ছেলে দুজন ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। তাদের স্ত্রীদের নিয়ে তারা আলাদা থাকছেন। এই বয়সে কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। তবে এশেদালী বাঁচার চেষ্টা হিসেবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের কাছে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করেছেন একটি ভয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য। কিন্তু আজও জোটেনি কোন ভাতার কার্ড। তার সকল চেষ্টা বিফল হওয়ার পরও তিনি থেমে থাকেননি। ইতোমধ্যে তিনি উপজেলার বিশিষ্টজনদের কাছে এসে একটি ভাতার কার্ড করে দেয়ার জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
×