ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইব্রাহীম রাসেল

অফুরন্ত সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৫ অক্টোবর ২০১৭

অফুরন্ত সম্ভাবনা

কবি এ দেশটাকে ছবির মতো বলে আখ্যা দিয়েছেন। আহ্বান জানিয়েছেন বিশ^বাসীকে ছবির মতো এদেশটাকে একবার হলেও দেখে যাওয়ার জন্য। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, পাহাড়-নদী-সমুদ্র বিধৌত এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হৃদয়ের গভীরে সৃষ্টি করে স্নিগ্ধ অনুরণন। বিশ^বাসীর যারা ভ্রমণ করে দৃষ্টি জুড়াতে চান, যারা শ্রেষ্ঠ ও আকর্ষণীয় পরিবেশে অবকাশ যাপন করতে চান, সেইসব পর্যটকদের আকর্ষণ ও হৃদয়ে অপার তৃপ্তিদানের মতো অনেক দৃষ্টিনন্দন স্থান ও মূল্যবান নিদর্শন রয়েছে আমাদের এই দেশে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের অবস্থান এই দেশে। রয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা প্রবাল দীপ সেন্টমার্টিন। বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের নয়ারাভিরাম সৌন্দর্য। রয়েছে মোহনীয় রূপের সাগরকন্যা ‘কুয়াকাটা’, যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যায়। কিন্তু নানাবিধ সমস্যা, অবহেলা আর অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের পর্যটন শিল্প বিশে^র তুলনায় এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। আমাদের পর্যটন শিল্প ঘিরে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো হলো-উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব, পর্যটকদের নিরাপত্তাহীনতা, উন্নত সুযোগ সুবিধার অভাব, পর্যটন কূটনীতির অভাব, পর্যটন শিল্পের বিকাশে গণমাধ্যমের সমন্বিত কর্মসূচীর অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ সঙ্কট, উন্নত আবাসন ব্যবস্থার সঙ্কট, জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যথাযথ সংরক্ষণ না করা, এছাড়াও বাংলাদেশের ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা। তাছাড়া পর্যাপ্ত গাইড ও গাইডবুকের অভাব বিদেশী পর্যটকদে রীতিমতো নিরুৎসাহিত করছে। সর্বোপরি পর্যটন শিল্পের প্রচার এবং প্রসারের জন্য সরকারী-বেসরকারী উভয়ের যথাযথ উদ্যোগের অভাব। পর্যটনশিল্পে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে-মাস্টার প্ল্যান নিয়ে যদি কাজ করা যায় তাহলে পর্যটন শিল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব। এ শিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তাই এ শিল্পকে পরিচিত ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরকারী ও বেসরকারী উভয়ের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি পর্যটন বান্ধব যোগাযোগ ও স্থাপনা তৈরি করতে হবে। পর্যটন স্থানগুলোর যাতায়াত সহজতর করতে হবে। মোহাম্মদপুর, ঢাকা থেকে
×